ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতীকের জটিলতা চলছেই। এনসিপি ‘শাপলা’ প্রতীককে নিজেদের দলের সিম্বল হিসেবে দাবিদার থাকলেও, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তফসিল অনুযায়ী এই প্রতীক তালিকাভুক্ত নয়।
ইসি সম্প্রতি এনসিপিকে চিঠি দিয়েছে, আগামী ৭ই অক্টোবরের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৫০টি প্রতীক থেকে পছন্দ করে তা জানাতে। চিঠিতে বলা হয়েছে, দলের প্রথম পছন্দ ‘শাপলা’ বর্তমানে তালিকায় নেই, তাই বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। চিঠিটি ৩০ সেপ্টেম্বর পাঠানো হয় এবং একই দিন দলটি তা গ্রহণ করেছে।
নির্বাচন কমিশনের তালিকাভুক্ত প্রতীকের মধ্যে রয়েছে আলমিরা, খাট, ঘুড়ি, টেলিফোন, কম্পিউটার, দোলনা, প্রজাপতি, মোবাইল ফোন, হেলিকপ্টারসহ মোট ৫০টি প্রতীক।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও আইন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মুসা জানিয়েছেন, ‘শাপলার ব্যাপারে আমরা অবস্থান পরিবর্তন করব না। ইসি আমাদের চিঠি আইনগতভাবে সঠিকভাবে পাঠায়নি। আমাদের দেওয়া দুটি চিঠির বিষয়ে নিষ্পত্তি না করে পরবর্তী ধাপ নেওয়া হয়েছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি দাবি করছে, শাপলা ছাড়া তারা নিবন্ধন মানবে না। ৯ অক্টোবর মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীও সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘শাপলা ছাড়া এনসিপির নিবন্ধন হবে না।’
অন্যদিকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে। ১৩ অক্টোবর কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর আবেদন জমা দিয়েছেন। কংগ্রেস জানিয়েছে, দলটি ২০১৩ সাল থেকে শাপলা প্রতীক ব্যবহার করে আসছে। পূর্বে নিবন্ধনের সময় তাদেরকে ‘ডাব’ প্রতীক নিতে হয়েছিল, তবে এবার তারা ‘শাপলা’ পুনর্ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে।
কংগ্রেসের আবেদন পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যদি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় প্রতীক শাপলা দলীয় প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তবে প্রথম দাবিদার বাংলাদেশ কংগ্রেসকে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক।’
রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শাপলা প্রতীককে কেন্দ্র করে এই দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক উত্তাপ সৃষ্টি করতে পারে। এনসিপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে কে প্রথম পাবেন তা ইসির সিদ্ধান্তে নির্ধারিত হবে।
এসএইচ