সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নবম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়নের কৌশল চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সরকার। দেশের বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি ও সামগ্রিক আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই নতুন বেতন কাঠামো একবারে নয়, বরং তিনটি পৃথক ধাপে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে নতুন পে-স্কেল কার্যকর করার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারি কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের ভিত্তিতে এই সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে দ্রুত গেজেট প্রকাশ ও একযোগে বাস্তবায়নের দাবি ছিল, তবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে সুবিধা কার্যকরের স্পষ্ট আশ্বাস পাওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের পথ বেছে নেওয়া হয়েছে।
[262588]
পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে নতুন বেতন কাঠামোর মূল বেতন বা বেসিক পে কার্যকর করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে একই বছরের জুন মাস থেকে বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও আনুতোষিক সুবিধা চালু করা হবে। তৃতীয় ধাপে অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পর্যায়ক্রমে যুক্ত করা হবে।
পে কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি বাস্তবসম্মত ও টেকসই বেতন কাঠামো প্রণয়নের লক্ষ্যেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এতে সরকারের ওপর হঠাৎ করে বড় ধরনের আর্থিক চাপ পড়বে না এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে।
[262585]
কমিশন সূত্রে আরও জানা গেছে, ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা উল্লেখ করে শিগগিরই চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে। সেখানে বেতন কাঠামো, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা কার্যকরের বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরা থাকবে।
সবশেষে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির বিষয়ে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে জাতীয় বেতন কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে জমা দেবে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে সরকার।
এসএইচ