২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের সর্বকনিষ্ঠ এমপি প্রার্থী হিসেবে শেরপুর-১ আসন থেকে ভোট করেছিলেন ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। এবারও তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছেন।
সেই সময় শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও ব্যবসায়ী হযরত আলী কারাগারে থাকার কারণে প্রিয়াংকাকে প্রার্থী করা হয়। বাবার জনপ্রিয়তা ও চৌকষ নেতৃত্বকে ভরসা করে প্রিয়াংকা তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থীকে হুঁশিয়ার করেন। নির্বাচনের দিন দুপুর ১২টার মধ্যে তিনি ৩৫ হাজার ভোট পান, তবে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
এবার আবারও প্রিয়াংকার নাম বিএনপির মনোনীত ১০ নারীর মধ্যে আসায় ২০১৮ সালের সেই প্রতিবাদী চিত্র শেরপুরের মানুষের মনে নতুন করে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর-১ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা বলেন, ‘আমি ২০১৮ সালে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে শেরপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলাম। সেই সময় শেরপুর সদরের মানুষের চোখে মুখে ধানের শীষের জনপ্রিয়তা ও ভালোবাসা দেখেছি। এক ঘণ্টার মধ্যে সাধারণ মানুষ যে পরিমাণ ভোট দিয়েছে তা দেখেই বোঝা যায় তারা ধানের শীষ এবং আমাকে কতটা ভালোবাসে। তারই পরিক্রমায় এবারও আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এজন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধন্যবাদ জানাই। ২০১৮ সালে আমি ভোট কারচুপির প্রতিবাদ করেছিলাম।’
মনোনয়ন বঞ্চিতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একটি আসনে অনেক প্রার্থী থাকতে পারে। বিএনপি একটি বড় দল, তাই এখানে প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। আমাদের আসনেও একাধিক প্রার্থী ছিলেন। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেক প্রার্থীই ধানের শীষকে ভালোবাসে এবং মন থেকে দলকে সমর্থন করে। কেন্দ্র যেহেতু আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে, আমি আশা করি বাকি সব প্রার্থী আমাকে সহযোগিতা করবেন এবং ধানের শীষের পক্ষে কাজ করবেন। ইনশাআল্লাহ, শেরপুর সদর আসন থেকে এবার আমরা ধানের শীষকে বিজয়ী করব।’
নারী কোটায় প্রার্থিতার বিষয়ে তিনি জানান, ‘নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ তাদের জন্য আমার আলাদা কিছু পরিকল্পনা থাকবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও কৃষি খাতেও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া বড় প্রকল্পগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে।’
এসএইচ