রাজধানীর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক সময়ে নজর কাড়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে দলটি প্রকাশ্যে নতুন প্রার্থী তালিকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন প্রার্থী এবং সাংবাদিক ওলিউল্লাহ নোমানকে মনোনয়ন দিয়েছে। ৪৬ বছর বয়সী এই প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল এতদিনে এমন ধরনের প্রার্থী দেওয়ার নজির দেখা যায়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত শুধু দলীয় বহুমুখীতা প্রদর্শন নয়, বরং নির্বাচনী কৌশলের অংশ। দলটি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সমর্থন আকর্ষণ এবং মিডিয়ার সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সচেষ্ট। সাংবাদিক ওলিউল্লাহ নোমানকে প্রার্থী করার পেছনে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাবের সমন্বয় কাজ করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিদেশি কূটনৈতিক মিশনগুলোও সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে বৈঠকে অংশগ্রহণ করছে। বসুন্ধরায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এটি জামায়াতের কূটনৈতিক সক্ষমতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব প্রদর্শনের একটি উদ্যোগ।
দলীয় অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থী এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে তালিকায় আনা বিএনপির ভেতরের জটিলতা ও দলে প্রভাবশীল নেতৃত্বের ঘাটতির মধ্যে নতুন রাজনৈতিক বার্তা। দলের বর্তমান নেতৃত্বের অভ্যন্তরীণ শক্তি ও ঐক্য বজায় রাখতে এবং দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে এটি একটি সচেতন কৌশল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রশ্ন করছেন, এই পরিবর্তন এবং বৈচিত্র্যময় মনোনয়ন কি কেবল নির্বাচনী কৌশল নাকি বিদেশি মিশন ও রাজনৈতিক মহলের নজর কাড়ার উদ্দেশ্যও রয়েছে? দল এখন এই নতুন রাজনৈতিক গতিশীলতার মাধ্যমে নিজ অবস্থান শক্তিশালী করতে চাইছে।