বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবার আওতায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক জাহিদ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “ম্যাডাম এখন সিসিইউতে আছেন এবং একজন সংকটাপন্ন রোগীর জন্য যে ধরনের বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রয়োজন, তার সবটুকুই তাকে দেওয়া হচ্ছে। গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করবেন না।”
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যকে কেন্দ্র করে মানুষের উদ্বেগ ও ভালোবাসা থাকলেও চিকিৎসা সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করা যায় না। “মনে রাখতে হবে, তিনি একজন রোগী এবং তারও চিকিৎসাগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার রয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী আমরা সব তথ্য প্রকাশ করতে পারি না,” বলেন তিনি।
চিকিৎসার অগ্রগতির বিষয়ে অধ্যাপক জাহিদ জানান, “ডাক্তাররা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, তিনি তা গ্রহণ করতে পারছেন এবং সাড়া দিচ্ছেন।”
২৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়া বিশেষজ্ঞদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত আছেন। পাশাপাশি চীন ও যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও সরাসরি ঢাকায় এসে তাকে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
এদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে এসে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তদারকিতে যুক্ত হয়েছেন।
ডা. জাহিদ আরও জানান, ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে তাকে বিদেশে স্থানান্তরের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানোর সময় এখনো আসেনি।
তিনি বলেন, “আল্লাহর রহমত, মানুষের দোয়া এবং চিকিৎসক-নার্সদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় চিকিৎসা চলছে। আমরা সবাই তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।”
এম