ঢাকা: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৭২টি আসনে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছে বিএনপি। এতে করে মিত্রদের সাথে দূরত্ব তৈরি হয়েছে দলটির। এই দূরত্ব মেটাতে বৈঠক ডেকেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হবে।
এতে মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর ১৫ জন শীর্ষ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা ৫ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণফোরামের শীর্ষ নেতা।
মিত্র অন্তত পাঁচটি দলের শীর্ষ নেতারা জানান, তাদের গুলশান কার্যালয়ে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা বৈঠকে অংশ নেবেন। নির্বাচনি আসনসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন নেতা থাকার কথা রয়েছে।
মিত্র দলগুলোর নেতারা আরও জানান, আসন সমঝোতা নিয়ে বিএনপির কাছ থেকে তারা দ্রুত সুষ্ঠু সমাধান চান। যাতে বাইরে কোনো নেতিবাচক বার্তা না যায় যে, বিএনপির সঙ্গে মিত্রদের বিরোধ রয়েছে। তারা বিএনপির সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই পথ চলতে চান।
এর আগে, আসন নিয়ে মতবিরোধের মধ্যেই বুধবার একটা বৈঠক করেন মিত্ররা। ওইদিন বিকালে রাজধানীর পল্টনে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ২৯টি দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে আসন নিয়ে বিএনপির প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান মিত্ররা। সিদ্ধান্ত হয় বিএনপির সঙ্গে শিগগিরই তাদের বৈঠকে বসার।
ওই বৈঠকে অংশ নেন ৫ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, নেজামে ইসলামী পার্টি ও গণফোরামের শীর্ষ নেতারা। এসব দল ও জোট বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনেও ছিল। মিত্র রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন- মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকিসহ ৫ দলের শীর্ষ নেতারা।
এছাড়া ছিলেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, সমন্বয়ক জাতীয় দলের অ্যাডভোকেট এহসানুল হুদা, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, সমমনা জোটের প্রধান সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণফোরামের অ্যাভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নেজামে ইসলামী দলের আশরাফুল ইসলামসহ মোট ২৯টি দলের শীর্ষ নেতারা।
পিএস