মঞ্চ কাঁপাবেন সালমান-ক্যাটরিনা, সুরের ঝঙ্কার তুলবেন জেমস-মমতাজ

  • রবিউল ইসলাম বিদ্যুৎ | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০১৯, ০৮:৫৯ পিএম

ঢাকা : মাঝে মাত্র কয়টা দিন। তারপরই শুরু হয়ে যাবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিবিপিএল)। ১১ ডিসেম্বর মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে ময়দানি লড়াই। তার আগে ৮ ডিসেম্বর হবে বিপিএল বোধন। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের বোধন অনুষ্ঠান অতীতের সব আয়োজনকে ছাপিয়ে যাবে। এদিন মাঠে হাজির থেকে বিপিএলের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন ক্রিকেটপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিপিএল বোধনকে ঘিরে মিরপুরে এখন সাজ সাজ রব। মনে হচ্ছে যেন বিয়ে বাড়ির মতো সাজিয়ে উঠছে ‘হোম অব ক্রিকেট।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, এবারের বিপিএল বোধন হবে অন্য যে কোনওবারের চেয়ে সেরা। কেননা বিশেষ এই বিপিএলের সঙ্গে যে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গি পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সেই হিসাবে ২০২০ সালের ১৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এই উপলক্ষে দেশজুড়ে থাকবে নানা অনুষ্ঠান। আর এটি চলবে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ অবধি।

৮ ডিসেম্বর বিপিএল বোধনের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে। এরই মাঝে বিসিবির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কারা কারা পারফর্ম করছেন। সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হতে চলেছে বলিউডের ‘ভাইজান’ খ্যাত সালমান খানের উপস্থিতি। বিপিএলে এবারই তাঁকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে। সল্লু ভাইয়ের সঙ্গে থাকবেন গ্ল্যামার গার্ল ক্যাটরিনা কাইফ। এর আগেও তাঁকে বিপিএল বোধনে দেখা গিয়েছিল।

একদিকে সালমান-ক্যাটরিনা মঞ্চ কাঁপাবেন, অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের দুই মহাতারকা জেমস ও মমতাজ সুরের ঝঙ্কার তুলবেন। এই দুজনের সঙ্গে যোগ দেবেন ভারতের সনু নিগম ও কৈলাশ খের। বোঝাই যাচ্ছে, নাচ-গানে ভরপুর এক অনুষ্ঠানই হতে চলেছে।

তবে দর্শকদের জন্য দুঃসংবাদই দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। কারণ হাজার পাঁচেক দর্শক টিকিট কেটে বিপিএল বোধন দেখতে পাবেন। বাকিদের টিভি পর্দায় চোখ রাখা ছাড়া উপায় নেই। কেন দর্শকদের বেশি টিকিট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না? এর ব্যাখ্য দিয়ে নাজমুল হাসান প্রচারমাধ্যমকে বলেছেন,‘ মাঠে খুব সীমিত সংখ্যক দর্শককে আমরা জায়গা দিতে পারব। মঞ্চের পেছনের দিকেও পারছি না, সামনের দিকেও না। মাঠের ভিতরে পিচ নষ্ট হতে পারে-তাই ঝুঁকি নিতে পারছি না। ভিআইপিদের জন্য কিছু চেয়ার মাঠে মঞ্চের দুপাশে থাকবে। আমরা যেটা হিসাব করেছি তাতে আট হাজারের বেশি দর্শককে জায়গা দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের কাউন্সিলর, ক্লাব, স্পন্সর, সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে দিতে হবে। এসব দিয়ে হাজার পাঁচেক টিকিট দর্শককে দিতে পারব।’

বঙ্গবন্ধুর নামে বিশেষ এই বিপিএলে থাকছে না কোনও ফ্রাঞ্চাইজি। পুরো আয়োজনের দেখভাল করছে বোর্ড। বোর্ডের কর্তাব্যক্তিদের হাতেই থাকছে দলগুলোর দায়িত্ব। এরই মাঝে দলগুলো অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। এখন শুধু মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় বিপিএল।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই