ইংল্যান্ডের যত ভয় তামিম-তাসকিন-মাহমুদউল্লাহ!

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০১৬, ১০:১৯ এএম

সাকিব আল হাসান পোস্টার বয় হলেও বাংলাদেশ দলে আরও ক্রিকেটার রয়েছেন যারা ইংল্যান্ড দলে কাঁপন ধরাতে পারেন। এমনটাই বলা হয়েছে স্কাই স্পোর্টসের একটি প্রতিবেদনে। সেখানে সুনির্দিষ্ট করে বাংলাদেশ দলের তিনজন ক্রিকেটারের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। এরা হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল এবং তাসকিন আহমেদ। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে।

সিরিজটি জস বাটলারদের জন্য মোটেও সহজ হবে না। তাদের সামনে কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে। কেননা দেশের মাটিতে শেষ ৬ টি সিরিজেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ চারবারের দেখায় তিনবারেই জয় তুলে নিয়েছিলেন মাশরাফিরা। যার মধ্যে ২০১৫ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে গ্র“প পর্ব থেকেই বিদায় করেছিল বাংলাদেশ। আর সেবার প্রথমবারের মত নকআউট পর্বে উঠেছিল টাইগাররা।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিপজ্জনক খেলোয়াড়ের এক নম্বর তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার ২৭ বছর বয়সি তামিম ইকবাল। বাঁহাতি এই ওপেনারের ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। তিনি সবসময়ই একটা ধারাবাহিক ছন্দে থাকেন। বিশেষ করে ২০১৫ সালে তার পারফরম্যান্স বেশ ভালো। তিনি দুইটি সেঞ্চুরিসহ ৪৬ গড়ে ৭৪২ রান করেছেন। 

এছাড়া সব ফরম্যাট মিলিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তামিমের তিনটি সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরে তামিম ১২০ বলে ১২৫ রানের একটি চমৎকার ইনিংস খেলেছিলেন। তাছাড়া সদ্য শেষ হওয়া আফগানিস্তান সিরিজে দুরন্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে হয়েছেন সিরিজ সেরাও। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিম টেস্ট ফরম্যাটেও সমান দুরন্ত বলেই মনে করছে স্কাই স্পোর্টস।

দ্বিতীয়জন হচ্ছেন ৩০ বছর বয়সি অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশের হযে তিনি ১২৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। সেই হিসেবে তিনি বাংলাদেশ দলের অন্যতম অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার। ২০১৫ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে রাতারাতি তারকা বনে গিয়েছেন তিনি। ওই আসরে তিনি ৭৩ গড়ে ৩৬৫ রান করেছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ১০৩ রানের ইনিংসটিই বাংলাদেশকে প্রথমবারের মত নকআউট পর্বে যেতে সাহায্য করেছিল।

সাধারণত একজন অলরাউন্ডার মিডল অর্ডারে ব্যাট করে। সেখান থেকে ৪ নম্বরে উঠে এসে দুটি সেঞ্চুরি এবং পাঁচটি হাফসেঞ্চুরিসহ তার রানের গড় ৭৪। যা স্কাই স্পোর্টসের চোখে অবিশ্বাস্যই লেগেছে। বাংলাদেশ দলও তার কাছ থেকে ভালো কিছুই আশা করছে।

এই সিরিজের জন্য বাংলাদেশের পেস বোলিংটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পেসার মুস্তাফিজুর রহমানই এ সিরিজে অনুপস্থিত। এই মুস্তাফিজই গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিলেন। তাই স্কাই স্পোর্টস মনে করছে বাংলাদেশের পেসে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। আফগানিস্তান সিরিজে ছিটকে পড়েছেন আরেক পেসার রুবেল হোসেনও।

তবে সদ্যই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আসা তাসকিন আহমেদ ইংল্যান্ডের জন্য হুমকি হয়েই দেখা দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। দলের পেস বোলার হিসেবে তার কাঁধেই দায়িত্ব চাপছে বেশি। তিনি নিয়মিত ৯০ মাইল/ঘন্টায় বল করেন। সম্প্রতি ডেথ ওভারের দিকে ইয়র্কারেও বেশ পারদর্শী হয়ে উঠেছেন তাসকিন।

তরুণ এ পেসারের অভিষেকটাও কিন্তু দুর্দান্তই হয়েছিল। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকেই ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাসকিন যে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সেখানে জস বাটলারের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটিও ছিল। তাই তাকে নিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা যেতেই পারে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই