মিরাজের পাঁচে প্রথম দিন বাংলাদেশের

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০১৬, ০৬:০৩ পিএম

ঢাকা : অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেয়ার ঘটনা ক্রিকেটে বহুবারই ঘটেছে। মেহেদি হাসান মিরাজের পাঁচ উইকেট তুলে নেয়ায় অনেকে আশ্চর্য হলেও যারা ক্রিকেটের টুকটাক খোঁজখবর রাখেন তারা হননি। তারা জানতেন, মিরাজের সেই সামর্থ্য রয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে নির্বাচকদের তো সেটা আরো ভালো জানা কথা। তাহলে কেন মিরাজকে আফগানিস্তান এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলানো হলো না? আসলে এখানেই চমকটা দিয়েছে মিনহাজুল আবেদিনের নির্বাচক প্যানেল। 

মিরাজের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে সাফল্যগাথা দেখেই তারা বুঝে গিয়েছিলেন এই ছেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে দীর্ঘসময় রাজত্ব করতেই এসেছে। আর সে কারণেই তাকে আড়ালে রাখা হয়েছিল। যাতে ইংলিশরা তাকে বুঝতে না পারে!

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে নির্বাচকদের বিশেষ চমক মেহেদি আসলে চমকই দেখিয়েছেন। অভিষেকেই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ইংলিশদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছেন। প্রথম দিনশেষে ইংল্যান্ড ৯২ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেটের বিনিময়ে স্কোরবোর্ডে তুলেছে ২৫৮ রান। 

এদিন টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন অ্যালিস্টার কুক। মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে কুক একটি রেকর্ডও স্পর্শ  করেন। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ (১৩৪) টেস্ট খেলা ব্যক্তিটির নাম এখন কুক। পেছনে ফেলে দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক অ্যালেক স্টুয়ার্টকে। অনন্য এক উচ্চতায় উঠার দিনে তাকে সরাসরি বোল্ড হতে হয়েছে সাকিব আল হাসানের বলে মাত্র ৪ রান করে। 

শুরুটা সাকিব করলেও পরে সব আলো নিজের করে নেন মেহেদি। অভিষিক্ত বেন ডাকেটকে(১৪) ফিরিয়ে শুরু। ১৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তখন কাঁপছিল ইংল্যান্ড। সেটা তিনি আরো বাড়িয়ে দেন গ্যারি ব্যালান্সকে (১) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে। ২১ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন জো রুট এবং মঈন আলী চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬৪ রান যোগ করে।

ইংল্যান্ডের জুটি জমে যাচ্ছিল যখন ঠিক তখনই আবার আঘাত হানেন মেহেদি। এবার তার শিকারে পরিণত হন রুট। ৪৯ বলে পাঁচ চারের সাহায্যে ৪০ রান করেন তিনি। 

বাংলাদেশে এসে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দেয়া বেন স্টোকসকে বোল্ড করে ফেরান সাকিব। এরপর মঈনের সঙ্গে যোগ দেন জনি বেয়ারস্টো। দুজনে মিলে  ষষ্ঠ উইকেটে ৮৮ রান যোগ করেন। ১৯৪ রানে এ জুটি ভাঙেন মিরাজ মঈনকে ফিরিয়ে। ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ইংলিশ অলরাউন্ডার এদিন খেলেছেন ১৭০ বলে ৬৮ রানের ইনিংস।  আট চারের সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন একটি।

বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দিয়েও ৫২ রানেই থামতে হয়েছে বেয়ারস্টোকে। তাকেও বোল্ড করে ফিরিয়েছেন সেই মিরাজ। এরপর অবশ্য আর উইকেট পড়তে দেননি ক্রিস ওকস (৩৬) এবং  আদিল রশিদ (৫)।  

অভিষেক ম্যাচে ৩৩ ওভার বল করে ৬৪ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। অবশ্য অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেওয়ায় তিনিই প্রথম নন তার আগে নাঈমুর রহমান, মুঞ্জুরুল ইসলাম রানা, সোহাগ গাজি, ইলিয়াস সানি, তাইজুল ইসলাম, মাহমুদুল্লাহ এই কীর্তি গড়েছিলেন। মেহেদির দিনে ৪৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ২৫৮/৭ (৯২ ওভার) (মঈন ৬৮, বেয়ারস্টো ৫২, রুট ৪০, ওকস ৩৬*, ডাকেট ১৪। মেহেদি ৫/৬৪, সাকিব ২/৪৬।)

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম