চোখের সামনে নিজের শৈশব দেখে কাঁদলেন নেইমার

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১২, ২০১৮, ০৩:৪২ পিএম

ঢাকা: বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার কে? এই প্রশ্ন ফুটবল সমর্থকদের মাথায় ঘুরপাক করতেই পারে। ভাবছেন মেসি নাকি রোনালদো! না তাদের কেউই নন। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার হচ্ছেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড নেইমার। বাড়ি, গাড়ি আর অর্থ বিত্তের কোনও অভাব নেই তার। তবে একটা সময় কিন্তু এই সুপার ষ্টারের বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে। ছোট্ট একটি ঘরে কেটেছে জীবনের অনেকটা সময়। হঠাৎ চোখের সামনে সেই শৈশব দেখে কান্না লুকাতে পারলেন না নেইমার।  

ঠিক যেন আগের মতই। ছোট বেলায় সাও পাওলোর স্যান ভিসেন্তেতে যে ঘরে থাকতেন, ঠিক সেরকমই একটি ঘর তৈরি করে নেইমারকে সারপ্রাইজ দেয় ‘কালদেইরো ড হুক’ নামের এক টেলিভিশন অনুষ্ঠান। সেই ‘নকল’ বাড়িটিতে পা দিয়েই নেইমার ফিরে গেলেন শৈশবে। আর আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন ব্রাজিলীয় সুপার ষ্টার।

নেইমারদের আগের বাড়িটি যেমন ছিল, ঠিক তেমনভাবেই সাজানো হয়েছিল রেপ্লিকা বাড়িটি। তারপর নেইমার ও তার মাকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। তার ছেলেবেলার অনেক স্মৃতিই ধরে রাখা হয়েছে সেখানে। যেসব শটস পরে সেই বেলায় ছোট্ট ছেলেটি খেলেছে, সেগুলো সাজিয়ে রাখা পরম যত্নে। ট্রফি কেসে রাখা তার তখনের অর্জন করা ট্রফিগুলো। এসব স্মৃতি দেখে আর সহ্য করতে পারেননি নেইমার। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার, প্রতিপক্ষ রক্ষণের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক মাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন!

এই অনুষ্ঠানটি তৈরি করা হয়েছিল নেইমার যখন পায়ের মেটারসালের ইনজুরিতে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন। নেইমারের বাবা-মা এবং বোন টিভি প্রযোজককে সহায়তা করেছেন তার পুরোনো বাড়িটি বানাতে। পরিবারের পুরোনো ছবি থেকে আগের বাড়িটি সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া গেছে।

এরকম আয়োজন দেখে নেইমার এতটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন যে, একসময় তার মাকে আসতে হয় ছেলেকে স্বাভাবিক করতে। নাদিনে বলেন, ‘নেইমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করছিল-'কেন মা? এরকম করার কি দরকার ছিল?' আসল কথা আমি নিজেও এর উত্তর জানি না।’

গত শনিবার নেইমাররা যখন অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন ব্রাজিলে প্রচারিত হয় অনুষ্ঠানটি। এমন চমৎকার একটি আইডিয়া আনার জন্য টিভি চ্যানেলটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ব্রাজিল সুপারস্টার।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই