‘রিজার্ভ ডে’ নেই কেন? জানাল আইসিসি

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১২, ২০১৯, ০৬:১৬ পিএম
ছবি সংগৃহীত

ঢাকা: ইতিপুর্বে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দুইবার ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার রেকর্ড ছিল। দ্বাদশ আসরে সেটি ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ে দিল বৃষ্টি। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১৬টি ম্যাচের মধ্যে তিনটি ম্যাচই বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে।  

চলতি আসরে বৃষ্টির কারণে প্রথমবার পরিত্যক্ত হয় পাকিস্তান- শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ম্যাচটিও পরিত্যক্ত হয়েছিল। সর্বশেষ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যেকার ১৬তম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। মঙ্গলবারের ওই ম্যাচে টস করতে মাঠে নামায় হয়নি দুই দলের অধিনায়কের। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে বিশ্বকাপের মতো এত বড় একটা টুর্নামেন্টে কেন কোনও রিজার্ভ ডে রাখা হল না?

এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোডস হতাশার সুরে বলেন, “আমরা এক দিকে চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে দিচ্ছি, কিন্তু এদিকে বৃষ্টির জন্য আমরা একটা রিজার্ভডে রাখতে পারি না।”

তিনি আরও বলেন, “আমি জানি যুক্তি দিয়ে ভাবতে গেলে এত বড় টুর্নামেটে রিজার্ভ ডে রাখা আইসিসির ম্যানেজমেন্টের কাছে বড় চিন্তার বিষয় হবে। কিন্তু আমরা দু’টি ম্যাচের মাঝে অনেকটা সময় পাই খেলার জন্য। সেই সময়টা যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে ভাল হয়।”

বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার পর স্টিভ রোডসের হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ যে সমস্ত দলগুলোকে হারানোর ক্ষমতা রাখে, তাদের মধ্যে শ্রীলঙ্কা অন্যতম। তাই রিজার্ভ ডে না থাকা বাংলাদেশের পক্ষে ক্ষতি হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

অবশেষে লিগ পর্বে রিজার্ভ ডে না রাখার ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইসিসি-র প্রধান ডেভিড রিচার্ডসন জানিয়েছেন, “পুরুষদের এই ক্রিকেট বিশ্বকাপ রাউন্ড রবিন ফরম্যাটের হওয়ায় এমনিতেই টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য বেড়ে গিয়েছে, তার উপরে আলাদা করে গ্রুপ লিগের জন্য রিজার্ভ ডে রাখলে বিশ্বকাপের দৈর্ঘ্য আরও বাড়বে এবং সেটা এই টুর্নামেন্টকে আরও জটিলতর করে তুলবে।”

রিচার্ডসন আরও বলেন, “টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য বাড়লে অনেক দিকেই এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পরবে। যেমন মাঠের পিচ প্রস্তুত করা, দলের রিকভারি, যাত্রা পথ, ভেন্যুর পরিস্থিতি, টুর্নামেন্টের জন্য নিয়োগ করা কর্মী ও ভলান্টিয়ার, ম্যাচ ব্রডকাস্টিং ইত্যাদি। তার উপরে রিজার্ভ ডে রাখলেও এটা কেউ বলতে পারবে না যে সেই রিজার্ভ ডে-তে বৃষ্টি হবে না।’’

রিচার্ডসন ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন, ম্যাচগুলি সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রায় ১২০০ জন স্টাফ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছেন। এর উপরে যদি গ্রুপ লিগের জন্য আলাদা করে রিজার্ভ ডের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে স্টাফদের মান আরও উন্নত করার পাশাপাশি তাদের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। রিচার্ডসন বলছেন, ‘‘আমরা শুধু মাত্র নক আউট ম্যাচগুলির জন্যই রিজার্ভ ডের ব্যবস্থা রেখেছি।”

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই