মুন্সিগঞ্জ : দেশব্যাপী ১৪দিনের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে। তবে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেক কম আছে।
শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল হতে অল্প সংখ্যক যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হতে দেখা যায় নৌরুটের ফেরি গুলোতে। তবে পূর্বের চেয়ে আজ যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমে এসেছে। বাংলা বাজার থেকে অনেক সংখ্যক যাত্রীর ও যানবাহন ঢাকাতে আসছে ফেরি করে।
এদিকে নৌরুটে লঞ্চ বন্ধ থাকলেও লকডাউনে বাস্তবায়নে ঘাটে অভিমুখে ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশের নজরদারি, চেকপোস্ট লক্ষ্য করা গেছে। এতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শতশত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীরা ঘাটে এসে উপস্থিত হচ্ছে। জরুরি ও বিধিনিষেধ আওতার বাইরে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের কথা থাকলেও পারাপার হচ্ছে সকল জনসাধারণ।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একাধিক চেকপোস্ট থাকাতে যানবাহন শূন্য হয়ে রয়েছে তবে কিছু এম্বুলেন্স চলাচল করতে গেছে।
এবিষয়ে বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক(বানিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, নৌরুটে বর্তমানে ৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে ১৫-২০টি ব্যক্তিগত ও পন্যবাহী গাড়ি আছে। তবে বাংলাবাজার থেকে যেসব ফেরিগুলো আসছে ফেরিতে যাত্রী এবং ছোট যানবাহনের চাপ রয়েছে
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের কর্মকর্তা মো, সোলেমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল পর বন্ধ করা হয়েছে। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী আজ আর লঞ্চ চলেনি, লঞ্চঘাটে যাত্রীও নেই। ঘাটে যেসব যাত্রীরা আসছে তারা ফেরিতে পার হচ্ছে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন সুমণ দেব জানান, মুন্সীগঞ্জে একাধিক চেকপোস্ট রয়েছে পুলিশ সরকারি বিধি নিষেধ অনুযায়ী যাত্রীদের বাধ্য করা হবে। ঢাকা চিটাগাং ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক এবং শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এসএন
আপনার মতামত লিখুন :