• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

সন্তান না হওয়ায় সংসারে আশান্তি, একসঙ্গে ৪ জন পেয়ে ঈদের খুশি


যশোর প্রতিনিধি: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১, ০৭:৩১ পিএম
সন্তান না হওয়ায় সংসারে আশান্তি, একসঙ্গে ৪ জন পেয়ে ঈদের খুশি

যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম। ছবি: সংগৃহীত

যশোর: একসঙ্গে চার সন্তান এসেছে লাক্সমিয়া খাতুনের (৩০) কোলে।সাত বছরের দাম্পত্য জীবনে প্রথমবারের মা হয়েছেন তিনি। প্রসূতিসহ চার নবজাতকই সুস্থ আছেন। 

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) যশোর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়। চার সন্তানের মধ্যে দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। লাক্সমিয়া যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ভাঙ্গুরা গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।

আরও পড়ুন: বাউল মেহেদীর মাথা ন্যাড়া করে দিলেন মাতব্বররা

একসঙ্গে চার নতুন অতিথিকে পেয়ে যেন  ‘ঈদের খুশি’ নেমে এসেছে বাসার-লাক্সমিয়ার পরিবারে। 

গর্ভধারণের আগে থেকেই যশোর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক নার্গিস আক্তারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন লাক্সমিয়া। অস্ত্রোপচারও তিনিই করেছেন। চিকিৎসক নার্গিস আক্তার বলেন, দীর্ঘ সাত বছর লাক্সমিয়া দম্পতির সন্তান হয় না। দেড় বছর আগে তার কাছে চিকিৎসার পরামর্শ নিতে আসেন তাঁরা। এই দম্পতির দুজনেরই কিছু সমস্যা ছিল। চিকিৎসার তিন মাসেই এই গৃহবধূর গর্ভে সন্তান আসে। এর দুই মাস পরেই জানতে পারেন তার গর্ভে চার নবজাতক।

আরও পড়ুন: সরকারি সেবা না পেয়ে ডিসির কাছে পারিশ্রমিক চাইলেন কৃষক

নার্গিস আক্তার আরও বলেন, অনেক সময় একসঙ্গে একাধিক শিশু হলে দু-একজন মারা যায়। কিন্তু এই নারীর কোনো সমস্যা হয়নি। চার নবজাতকই সুস্থ আছে। প্রত্যেকের ওজন দেড় থেকে দুই কেজি।

স্বজনেরা জানান, ২০১৪ সালে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া গ্রামের আবদুর রহমান গাজীর ছেলে আবুল বাসারের সঙ্গে একই উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের চাড়াভিটা গ্রামের ইমামুল খাঁর মেয়ে লাক্সমিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের সাত বছর পার হলেও তাদের কোনো সন্তান হয়নি। এ নিয়ে উভয় পরিবারে হতাশা আর অশান্তি ছিল।

আরও পড়ুন: কলাই ক্ষেতে মরে পড়ে আছে ৭২ ঘুঘু-কবুতর

নবজাতকদের চাচা বাহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সন্তান না হওয়ায় আমার ভাই-ভাবির সংসারে শান্তি ছিল না। একসঙ্গে চার সন্তান হওয়ায় আমাদের পরিবার ও ভাবির পরিবারে এখন ঈদের চেয়ে খুশি বিরাজ করছে।’

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!