• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বামনায় বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত  


বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি  মে ২০, ২০২২, ০৬:২৮ পিএম
বামনায় বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত  

বরগুনা : বরগুনার বামনা উপজেলার বিষখালী নদী তীরবর্তী চেঁচান গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পূর্ণিমার প্রভাবে বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিনিয়ত জোয়ারে তলিয়ে যাচ্ছে আশপাশের অন্ততো ৬টি গ্রামের ফসলি জমি, মাছের ঘের ও রাস্তাঘাট। ফলে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন নদীতীরের প্রান্তিক চাষিরা। 

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে সরেজমিনে চেঁচান গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, বিষখালী নদী তীরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বেড়িবাঁধ ১৫ দিন আগে ভেঙে গেছে। কয়েকদিন ধরে পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে সেই ভাঙনকবলিত স্থান দিয়ে প্রবল বেগে বিষখালীর পানি ঢুকছে লোকালয়ে। ফলে চেঁচানসহ কাটাখালী, বেবাজিয়াখালী, ঢুষখালী, চালিতাবুনিয়া ও সফিপুর এলাকার ফসলি জমি, মাছের ঘের ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানায়, মাঠে এখনো তাদের মুগডাল, মসুরডালও ভুট্টা রয়েছে। প্রতিনিয়ত দুই বার এসব ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।

বামনা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিষখালী নদী তীরবর্তী ৬টি গ্রামে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে এবছর মুগডালের আবাদ হয়েছে। এছাড়াও ১০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা ও ৩০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজির আবাদ করা হয়েছে।

শুধু চেঁচান এলাকাই নয় বিষখালী নদীর জোয়ারে তলিয়ে যায় উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা, গুদিকাটা, দক্ষিণ কাকচিড়া, রামনা এলাকার দক্ষিণ রামনা, খোলপটুয়াসহ অন্ততো ১৫টি গ্রাম। 

চেঁচান গ্রামের বাসিন্দা মো. রুস্তুম আলী সরদার বলেন, ১৫ দিন আগে এখানের বাঁধটি ভেঙে যায়। আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এসে পরিদর্শন করে গেছেন। তবে মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় আমরা এখন পানিতে তলিয়ে যাই।

ওই এলাকার বাসিন্দা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, বাঁধটি ভেঙে গেলে আমরা পাউবো কে জানাই, কিন্তু তারা মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি। এতে জোয়ারের পানিতে ফসলি জমি, মাছের ঘের এমনকি বসত বাড়ি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।

বামনা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুজ্জামান সগির বলেন, চেঁচান গ্রামের বেড়িবাঁধটি দিয়ে বিষখালী নদীর জোয়ারের পানি ঢুকে লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। বিষয়টি বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু বাঁধটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

বরগুনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান বলেন, চেঁচান গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!