• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘দিনাজপুরের রাজা’র দাম ১২ লাখ টাকা


ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জুলাই ৪, ২০২২, ১২:০৭ পিএম
‘দিনাজপুরের রাজা’র দাম ১২ লাখ টাকা

দিনাজপুর: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ১২ ফুট লম্বা এবং ৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট সাদা-কালো মিশ্রিত রঙের ৩০ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ার জাতের একটি ষাড় গরুর দাম নির্ধারণ করেছেন ১২ লাখ টাকা। আসন্ন পবিত্র কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এই গরুটি। এর নাম রাখা হয়েছে ‘দিনাজপুরের রাজা’। 

ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মধ্যমপাড়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বিভিন্ন জাতের ১৫-১৬টি গরু নিয়ে নিজ বাড়ীতে গড়ে তুলেছেন সখের গরুর খামার। খামারেই সাড়ে ৪ বছর পূর্বে ফ্রিজিয়ান জাতের গাভি থেকে জন্ম নেওয়া ফ্রিজিয়ান জাতের ষাড়টির নাম রেখেছেন ‘দিনাজপুরের রাজা’।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় দুই হাজার ৩২৫টি গরুর খামার রয়েছে। এরমধ্যে নিবন্ধনকৃত খামার ২৩ টি। কোরবানির উপযুক্ত প্রাণি রয়েছে ১৯ হাজার ৮০৫ টি। এরমধ্যে কোরবানীর উপযুক্ত গরু ১১ হাজার ৩৮৬ টি এবং ছাগল-ভেড়াসহ অন্যান্য প্রাণি রয়েছে ৮ হাজার ৪১৯ টি।

খামারী স্কুল শিক্ষক গোলাম মোস্তফার ছোটভাই রাজার লালন-পালনকারি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গরুটি খুবই শান্ত প্রকৃতির। গোসল করাতে কোন কষ্ট পেতে হয় না। গোসলের সময় শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। রাজা বিক্রি হয়ে গেলে বাড়ীর সকলের মনে চরম খুব কষ্ট লাগবে। সবচেয়ে কষ্ট পাবে বাড়ীর ছোট বাচ্চা রা। কিন্তু সারা জীবন তো আর বাড়ীতে তাকে রাখাও যাবে না। তাই কষ্ট অন্তরে চেপে রেখে এটা মেনে নিতে হবে।

মোস্তাফিজুর রহমান স্ত্রী মোছা. নুর বানু বলেন, আমার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান অনেক সৌখিন মানুষ। নিজের সন্তানের মতো করে গরুটি লালন-পালন করেন। গরুটি বাড়ীর সকলের কাছে খুবই আপনজন হয়ে গেছে। ওকে বিক্রি করলে বাড়ীর সকলেই কষ্ট পাবে। 

‘দিনাজপুরের রাজা’ নামের গরুর মালিক স্কুর শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, গরুটির পরিচর্যার জন্য দু’জন লোক নিয়োগ রয়েছে। রাজার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রয়েছে প্রায় পাঁচ কেজি ভেজানো ছোলা, গমের ভুসি, মিষ্টি কুমড়া ও সবুজ কাঁচা ঘাস। গরুটির খাবারের জন্য দিনে প্রায় হাজার টাকা খরচ করতে হয়। এ পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা খাবারের পেছনে ব্যয় হয়ে গেছে।

বৈদ্যুতিক ফ্যানের বাতাসের মধ্যে রাখতে হয় রাজাকে। তবে বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প পন্থায় বাতাসের ব্যবস্থা করতে হয়। দিনে তিনবার গোসল করানোসহ শুকনো কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হয়। কোনভাবেই যেন তার শরীরে ঠান্ডা না লাগে। মাত্র সাড়ে ৪ বছরেই গরুটিকে উপযুক্ত পর্যায়ে আনা হয়েছে।

গরু খামারী গোলাম মোস্তফা দাবি করেন, দিনাজপুর জেলায় তার  ‘দিনাজপুরের রাজা’ নামের গরুটিই সবচেয়ে বড়। গরুটির দাম রেখেছেন ১২ লাখ টাকা। গরুটি হাটে আনা নেওয়া করা কষ্টকর ব্যাপার হওয়ায় পবিত্র কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে গরুটি কিনতে পারবেন ক্রেতারা।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রবিউল ইসলাম বলেন, গরু হৃষ্ট-পুষ্ট করণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৭৫ জন খামারীকে ৩টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে খামারীদের এ বিষয়ে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমেও ক্রেতা ও বিক্রেতা তাদের কোরবানীর পশু কেনাবেচা করতে পারেন।

সোনালীনিউজ/অগো/এসআই

Wordbridge School
Link copied!