কুমিল্লা: পারিবারিক দন্দ্বে সুদুর প্রবাসে ভাইয়ের হাতে প্রান হারালেন ভাই। দীর্ঘ দিন পর লাশ দেশে আসায় শোকে ভেঙ্গে পরে প্রবাসীর পরিবার। খুনির দৃষ্টান্তমুলক শাস্থির দাবী জানায় পরিবোরের সদস্যরা।
সৌদি আরবে অবস্থিত কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের ঝাড়ু মিয়ার ছোট ছেলে মোহাম্মদ আজাদের ছুরিকাগাতে নিহত হয় বড় ছেলে মুহাম্মদ মোতাহের। গত ১০ মে সৌদি আরবের দুয়াদিমিতে এই হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত মোতাহের হোসেনের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার বলেন, মোতাহের হোসেন তার ছোট ভাই মোঃ আজাদকে ৬ লক্ষ টাকা ধার হিসেবে প্রধান করেন কিন্তু মোতাহের হোসেনের টাকার প্রয়োজন হলে ছোট ভাই আজাদের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চায় এতে আজাদ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে একই ঘরে বসবাস করতো মোতাহের হোসেন ও তার ভাই আজাদের স্ত্রী। সেই সময় পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই ভাইয়ের স্ত্রীর মধ্যেই ঝগড়াঝাঁটি হতো আর এই ঝগড়ার বিষয়গুলো প্রবাসে থাকা স্বামীকে অবগত করতো দুইজনেই। এতে প্রবাসে থাকা দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও কঠিন রূপ ধারণ করে। এই দ্বন্দ্বের জের ধরেই মোহাম্মদ আজাদ তার আপন বড় ভাইকে ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘটনার পর আজাদকে গ্রেফতার করে সৌদি পুলিশ। হত্যার বিভিন্ন আলামত ও মেডিকেল রিপোর্টে খুনের বিষয়টি নিশ্চিত হয় সৌদি পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার জানান, তার স্বামী মোতাহের হোসেনের হত্যাকাণ্ডের তিন পেরিয়ে গেলেও সৌদি আরব থেকে লাশ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া এবং খুনের বিচারের অগ্রগতি বিষয়ে কোনো প্রকার সাহায্য না পেয়ে ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করি। এতে মালোয়শিয়ান প্রবাসি মানবাধিকার কর্মী আমাকে সহোযোগিতার হাত বাড়ায় এতে অল্প সময়ের মধ্যেই সরকারি খরচে আমার স্বামীর লাশ গতকাল দেশে আসে। প্রবাসে এমন হত্যাকাণ্ডের সুবিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ







































