• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে স্থিতিশীল, সংকটে নিম্নবিত্তরা


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি  মার্চ ১৯, ২০২৩, ০৫:১৩ পিএম
নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে স্থিতিশীল, সংকটে নিম্নবিত্তরা

ঠাকুরগাঁও: রমজান শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে রমজানকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়ে স্থিতিশীল হয়েছে।

রমজান সামনে রেখে বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে। উদ্বেগ বাড়ছে নিম্নআয়ের মানুষের। নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে নাভিশ্বাস উঠছে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভোক্তাদের। পণ্যের লাগামহীন দাম বাড়ায় চরম সংকটে পড়েছে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার। রোজগার না বাড়ায় পরিবার নিয়ে টিকে থাকাটাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের। পরিবারে একাধিক লোক আয় করেও খরচ মিটাতে সম্ভব হচ্ছে না। সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বলতার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন বলেও মনে করছেন ভোক্তারা।

রোববার (১৯ মার্চ) ঠাকুরগাঁওয়ের হাজিপাড়া, বেসিক নগরী, গোবিন্দনগর, রোড এলাকাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য ছোলা, খেসারির ডাল, মশুর ডাল, অ্যাংকর, বেসন, ডাবলি, সয়াবিন তেল, পাম ওয়েল, চিনিসহ সব পণ্যই গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মাংসের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা তুলনায় পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও প্রতিবছর রমজানের এক থেকে দুই সপ্তাহ আগেই এসব পণ্য দাম বেড়ে যায়। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি। রমজানের আগে প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে স্থিতিশীল রয়েছে। রমজানে ছোলার চাহিদা থাকায় কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ছোলার কেজি ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। মানভেদে এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, অ্যাংকর ডাল কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, বেসনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, খেসারির ডাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা, সয়াবিন লুজ তেল কেজি ১৯০ টাকা, পাম ওয়েল ১৫০ টাকা এবং চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন যে, এরইমধ্যে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যেরই দাম এক মাস আগের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে সেগুলোও রয়েছে।

বাজারে রমজানকে কেন্দ্র করে শাক-সবজি, মাছ, মাংস সবকিছু দাম এখন আকাশচুম্বি। বাজারে ক্রেতারা তাদের চাহিদা মত পণ্য কিনতে না পেরে দিশেহারা। একই দোকানে বার বার ভিড় করে পণ্যের দরদাম কষছেন। কম দামে পণ্য কিনতে না পেরে হতাশাও প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।

ভোক্তারা মনে করেন, সরকারের উচিত হবে এখনো রমজান শুরু হতে সপ্তাহখানিক বাকি রয়েছে। এরই মধ্যে কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা। যাতে করে রমজানে দু’বেলা একটু ভালো খেয়ে গরিব মানুষ সংযম সাধনা করতে পারে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শেখ সাদী সোনালীনিউজকে বলেন, কোনো পণ্যের দাম বাড়াতে হলে তার পক্ষে যৌক্তিক কারণ দেখাতে হবে কোম্পানিগুলোকে। সেজন্য তাদের ফ্যাক্টরিতে আমরা যাব। কত দামে কাঁচামাল আমদানি হচ্ছে, কোন পণ্য উৎপাদনে কত খরচ হচ্ছে এবং কোন পণ্য কী দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে সেগুলো আমরা বিশ্লেষণ করতে চাই। পরবর্তী সময়ে আমরা পর্যবেক্ষণের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দেব। এরপর বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

সোনালীনিউজ/এসআই

Wordbridge School
Link copied!