ছবি : প্রতিনিধি
বরিশাল: ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী তরুণ বিপ্লবী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অগ্রসেনানী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদী ওসমান হাদী-এর মৃত্যুর খবরে উত্তাল হয়ে উঠেছে বরিশাল নগরী।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ, মিছিল ও সড়ক অবরোধে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থী ও ছাত্র-জনতা।
রাত আনুমানিক ১২টার দিকে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। একই সময় সরকারি বজ্রমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। এতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি পালনের পর জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যান।
অন্যদিকে সরকারি হাতেম আলী কলেজের শিক্ষার্থীরা শহরের হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। একই সঙ্গে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে অংশ নেন। তারা ক্যাম্পাস থেকে মিছিল বের করে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এছাড়াও রাত বারোটার দিকে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনের সামনে সড়কে অবস্থান নেন। স্লোগানে স্লোগানে বিপ্লবী শহীদ হাদীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যান।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির বাসভবনের সামনে গিয়ে পুনরায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত হলে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তারা দাবি করেন, হাদীকে গুলিবর্ষণের পর প্রধান অভিযুক্ত কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল-তা স্পষ্ট তদন্তের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
বিক্ষোভ শেষে হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে পুনরায় কর্মসূচি ঘোষণার কথাও জানান আন্দোলনকারীরা।
এসআই







































