হিলি: দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে স্কুল পড়ুয়া আকাশ হার্টে ছিদ্র নিয়ে চিকিৎসার অভাবে দিন-দিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। বাবা পেশায় দিনমজুর আর মা গৃহীনি। এভাবেই চলে তাদের কষ্টের সংসার। চিকিৎসকরা বলেছেন, এক মাসের মধ্যে আকাশের হার্টের অপারেশন করতে হবে। এই জন্য প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা। দিনমজুর বাবা’র পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব না হওয়ায় ছেলের চিকিৎসায় বিত্তবানদের কাছে সাহায্য প্রত্যাশী আকাশের পরিবার। এদিকে আকাশের চিকিৎসার জন্য টাকা চাইয়ে সমাজ সেবা অফিসে দরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
সরেজমিনে গিয়ে যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্ত এলাকার নওপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক পেশায় একজন দিনমজুর, যার নুন আনতে পান্তায় ফুরায়। তারই ১২ বছর বয়সী একমাত্র সন্তান আকাশের দেখা দিয়েছে হার্টের সমস্যা।
ভুক্তভোগি আকাশের মা ও বাবা জানান, আমাদের একমাত্র ছেলে আকাশ। সে বিশাপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। এক সময়ের চঞ্চলা শিশুটি এখন শুধুই নিঃশ্চুপ। সমবয়সী সবাই এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করলেও আকাশ তার রোগের কাছে অসহায়। অল্প হাটতেই হাঁপিয়ে ওঠে সে, বন্ধ হয়ে আসে শ্বাস প্রশ্বাস। স্কুলে ভর্তি হলেও চলাফেরা করতে না পাড়ায় বেশ কিছুদিন ধরে স্কুলে যেতে পারেনা সে। দিন যতই যাচ্ছে ততই অসুস্থ হয়ে পড়ছে আকাশ। ডাক্তার দ্রুত অপারেশন করার কথা বললেও টাকার অভাবে তা করা যাচ্ছে না। যদি সরকার বা প্রভাবশালী কেউ সাহায্য করতো, তাহলে হয়তো অপারেশন করতে পারতাম। ছেলেটি আমার আগের মত চলাফেরা করতে পারতো, পড়াশুনা করতে পারতো।
প্রতিবেশিরা জানান, হার্টে ছিদ্র থাকায় এক মাসের মধ্যে অপারেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা, এতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকার, তবে অর্থের অভাবে অনিশ্চিত তার সন্তানের চিকিৎসা কার্যক্রম। অন্যসব ছেলে-মেয়েদের মতো স্কুলে যেতো আকাশ, উপজেলার বিশাপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো সে, তবে এখন অসুস্থতা থমকে দিয়েছে তার জীবনের চলার পথ। নতুন করে জীবন গড়তে প্রয়োজন সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় ছেলের চিকিৎসায় পরিবারটি চান অন্যের সাহায্য।
বিশাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস জানান, তার সবে শুরু জীবন, এরই মধ্যেই ছেলেটি বড় একটা রোগে আক্তান্ত হয়ে বাড়িতে পড়ে আছে। তার মা বাবা গরিব হওয়ায় চিকিৎসা করতে পারছেন না। আকাশের নাকি হার্টের সমস্যা হয়েছে, তার অপারেশন করতে হবে, অপারেশন করতে ৪ লাখ টাকা লাগবে। আমরা স্কুল থেকে কিছু সাহায্য করেছি, অনেক টাকার প্রয়োজন। সরকার যদি একটু দৃষ্টি দেয়, তাহলে হয়তো ছেলেটি বাসতে পাড়ে।
এদিকে বোয়ালদাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম জানান, আমি ইতিপূর্বে জেনেছি যে নওপাড়া গ্রামের আবব্দুল খালেকের ছেলে আকাশ। তার হার্টের ফুটো দেখা দিয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য আমরা সমাজ সেবা অফিসে দরখাস্ত দিয়েছি। সেখান থেকে কিছু টাকা পাবে সে। আর আমি আকাশের বিষয়ে বলতে চাই। আমরা যারা প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছি। তারা যদি এই ছেলেটির পাশে দাড়াই তাহলে তার অপারেশনের ব্যবস্থাটা হতে পারে।
সকলের সহযোগীতায় পারে ছোট্ট শিশু ছেলেকে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে। যাতে সে আবার স্কুলে যেতে পারে। আকাশকে সাহায্য পাঠাতে তার বাবা’র (বিকাশ নগদ) নং- ০১৪০১৭৮৮২০১
এমএস