পাবনা: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের নিজস্ব ভবন না থাকায় দীর্ঘদিন কোর্ট বিল্ডিং এর জরাজীর্ণ কক্ষে জমি রেজিষ্ট্রেশনের কাজ চলছে। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছেন এই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
জানা গেছে, উপজেলা পদ্ধতি চালু হওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয় পরিষদের আঙ্গিনায় এই ভবনটি নির্মাণ করার পর ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালত হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পরবর্তীতে এসব আদালত জেলায় স্থানান্তরিত হবার পর ভবনটি কয়েক বছর অব্যহৃত থাকে।
পরবর্তীতে এই ভবন সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের জন্য অস্থায়ী বরাদ্দ দেওয়া হয়। তখন থেকে অদ্যাবধি এখানেই চলছে জমি রেজিষ্ট্রেশনের। কিন্ত ভবনটি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসকে স্থায়ী বরাদ্দ না দেওয়ায় কর্তৃপক্ষ এখানে তাদের নিজস্ব ভবন নির্মাণ করতে পারছে না। এমনকি ভবনটি সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ পর্যন্ত দেওয়া হয়না। সংস্কারের অভাবে ভবনটি ক্রমেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যে এ ভবনের ছাদ ও দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ফলে অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন সাব-রেজিষ্টার ও কর্মচারীরা।
দলিল লেখক সমিতির নেতা মোকলেসুর রহমান বাচ্চু বলেন, ভবনটি খুবই পুরাতন ও ড্যাম হয়ে গেছে। বৃষ্টির সময় পানি চুইয়ে মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হচ্ছে। তাই এখানে জরুরি ভিত্তিতে একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য তারা ঊর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন।
সাব-রেজিস্টার কামরুল হাসান বলেন, অফিস ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে। এমন একটি পরিত্যক্ত কক্ষে তাকে প্রতিদিন ঝুঁকির মধ্যে জমি রেজিস্ট্রেশনের মতো গুরুত্বপুর্ণ কাজ করতে হচ্ছে। তাই এখানে অবিলম্বে অফিসের একটি নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি রয়েছে।
পাবনা জেলা রেজিস্টার দীপক কুমার সরকার সোনালী নিউজকে বলেন, পুর্বে ম্যাজিস্ট্রেট ও মুন্সেফ কোর্ট উপজেলা পদ্ধতির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ কারণে আইন মন্ত্রণালয় এখানে কোর্ট ভবন নির্মাণ করে। পরে উপজেলা কোর্ট বাতিল হওয়ায় ভবনটি আইন মন্ত্রণালয়ের হলেও জায়গাটি পরিষদের আওতায় চলে যায়। এ জন্য সেখানে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছে না। তবে উপজেলা পরিষদ ঐ স্থানটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের জন্য স্থায়ী অনুমোদন দিলে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
সোনালীনিউজ/এস/এসআই
আপনার মতামত লিখুন :