• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রমজানের আগেই পাটগ্রামে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুর


পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি  মার্চ ১০, ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
রমজানের আগেই পাটগ্রামে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুর

পাটগ্রাম: রমজান মাস এখনও শুরু হয়নি। তার আগেই গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে খেজুরের দাম গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক ও করহার বৃদ্ধি, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং ঋণপত্র জটিলতার কারণে এ বছর খেজুরের দাম বেড়েছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে খেজুরের বাজারের অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। 

উপজেলার পূর্ব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে জামিল খেজুর কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০ টাকা। জাহিদি জাতের খেজুর ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে , যা গত দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৩০০ টাকা। দাবাস জাতের খেজুর প্রতিকেজি ৪৫০ টাকার দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত দুই সপ্তাহ আগে ছিল ২৫০ টাকা। মরিয়ম জাতের খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৯০০ টাকা কেজি। আজওয়া খেজুর প্রতিকেজি ১ হাজার ১০০ টাকা, যা গত দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৯০০ টাকা। এ ছাড়াও খুরমা বাদামি রংয়ের প্রতিকেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায় যা গত দুই সপ্তাহে আগে ছিল ৫২০ থেকে ৫০০ টাকায়। খুরমা কালো রংয়ের প্রতিকেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা, যা গত দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৭০০ টাকা। নূর খেজুর প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়, যা গত দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৫৫০ টাকা কেজি। মাশরুম জাতের খেজুর প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা, যা গত দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৭০০ টাকা। 

পাটগ্রাম বাজারের রসুলগঞ্জ ফল ভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী নওশাদ আলী বলেন, ‘এবারে রমজানের আগেই মোকামে প্রতি জাতের খেজুরের দাম বেড়েছে। কোনোটিতে সর্বনি¤œ ৩০ টাকা হতে ৫ শ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা বিক্রিতে এ দর বৃদ্ধি প্রভাব ফেলেছে। এতে সাধারণ ক্রেতা ও পাইকারী দোকানদারেরা হিমসিম খাচ্ছে।’  

পাটগ্রাম পূর্ব বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক আজিনুর রহমান আজিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘রমজানের আগেই সব ধরনের খেজুরের বেড়েছে। এতে সকল ক্রেতারা বিপাকে পড়েছে। বিগত বছরের রোজা মাসের চেয়ে এবারে খেজুরসহ অন্যান্য ফলের দাম বেশ চড়া। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরকে আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।’   

খেজুর কিনতে আসা ক্রেতা নুরুজ্জামান বলেন, ‘রমজানে খেজুর রাখতেই হয়, কিন্তু সেই খেজুরের দাম নাগালের বাইরে। দাবাস খেজুরের দাম প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। ৪৮০ টাকা দরে এককেজি কিনেছি। দর কম হলে সবার জন্য সুবিধা হত। আমরা সবাই সিন্ডিকেটের নিকট জিম্মি।’

এ ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে খেজুরের দাম চড়া এটা জেনেছি। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেউ বেশি দামে বিক্রয় করলে, সে ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার মনিটরিং করা হবে।’

এমএস

Wordbridge School
Link copied!