বগুড়া: ‘আমি আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা করলাম। আমাদের এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’- এমনই চিরকুট লিখে নিজের চার বছরের মেয়ে মুশফিকা খাতুনকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন জুলেখা বেগম (২৪) নামের এক নারী। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বগুড়ার কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপোইল পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা ওই গ্রামের অটোচালক আব্দুল মমিনের স্ত্রী ও মেয়ে।
স্থানীয় ও নিহতদের পরিবার এবং কাহালু থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জুলেখার স্বামী আব্দুল মমিন অটোভ্যান চালক। তিনি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ভাত খেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান। জুলেখার শ্বশুর আবু বকর দুপুর ১২টার দিকে নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। নামাজ শেষ করে বাসায় ফিরলে জুলেখার কাছে ভাত দেওয়ার জন্য ডাকাডাকি করেন। দরজা বন্ধ এবং কোনো সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন জুলেখা ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে এবং নাতনী মুশফিকার মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। তিনি সাথে সাথে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে যেয়ে দুই মরদেহ উদ্ধার করে।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান জানান, শিশু মুশফিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সেখানে মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করা হয়নি। আমরা চিরকুটের লেখাসহ সার্বিক ঘটনার তদন্ত করছি। আপাতত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক অবস্থায় দাম্পত্য কলহের ব্যাপারেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এসএস