চাঁপাইনবাবগঞ্জ: সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কৃষক ছাড়া অন্য কেউ ঢুকতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে দুই দফা উত্তেজনা ও দুই দেশের সীমান্তবাসীর সংঘর্ষের পর বিজিবি-বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সৌজন্য বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া এসময় আরও তিনটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা।বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সোনামসজিদ বিওপির সম্মেলন কক্ষে এ সৌজন্য বৈঠক হয়।
বৈঠকে গুজব ছড়ানো বন্ধসহ মোট চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসময় ঐকমত্যের ভিত্তিতে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিজ নিজ সীমান্তে কার্যক্রম চালাবে এবং কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বৈঠকে চারটি সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো হলো- উভয়পক্ষ সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বাংলাদেশি এবং ভারতীয় কৃষক ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবে না, সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা বিজিবি-বিএসএফ আলোচনার মাধ্যমে সমন্বিতভাবে সমাধান করবে, উভয় দেশের মিডিয়ায় সীমান্ত সম্পর্কিত যে কোন ধরনের অপপ্রচার কিংবা গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে হবে এবং উভয় দেশের স্থানীয় জনগণকে অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরাচালান ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সৌজন্য সাক্ষাৎ সম্পন্ন হয়েছে এবং উভয় দেশ সিদ্ধান্তগুলো মেনে চলতে একমত হয়েছে।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি চৌকা সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ানোর পর গত ১৮ জানুয়ারি বিনোদপুর ইউনিয়নের কিরনগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় ভূখন্ডে বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করে গম কেটে নিচ্ছে- এমন অভিযোগ তুলে সংঘর্ষে জড়ায় দুই দেশের সীমান্তবাসী। এর জেরে একই ইউনিয়নের চৌকা সীমান্তে ভারতীয় ঘোষ ও স্থানীয়রা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে আম গাছসহ ফসলের ক্ষতি করে। একপর্যায়ে বিজিবি ও বাংলাদেশিদের ধাওয়ায় পিছু হটে তারা।
বিকেলে পতাকা বৈঠকে উভয় দেশের সীমান্তবাসীকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে শান্ত হয় পরিস্থিতি।
আইএ