বরগুনা: বিয়ের আগের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বামীর দেয়া মামলায় স্ত্রীর জেলহাজত হলেও জামিন লাভ প্রেমিকের। ঘর থেকে টাকা ও স্বর্ণলংকার নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বামী দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করতে গেলে বিচারক এই আদেশ প্রদান করেন।
মামলার বাদী হলেন স্বামী মো. সাইফুল ইসলাম। মামলার আসামিরা হলেন বাদীর স্ত্রী ও তার প্রেমিক সাইফুল শেখ। বুধবার বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শরিয়ত উল্লাহ এই আদেশ দেন।
মামলার বাদী মো. সাইফুল ইসলাম তার স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় গত ১৬ মার্চ বেতাগী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলটি করেন।
জানা যায়, গত ২০২৩ সালে মামলার বাদী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আসামি স্ত্রীর বিয়ে হয়। তার বিয়ের আগেই স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রতিবেশী মো. সাইফুল শেখের সঙ্গে আগে থেকেই প্রেম ছিল। এটি তার জানা ছিলনা বলে মামলায় উল্লেখ করেন।
বিয়ের পর বাদী ও তার স্ত্রী কিছুদিন ভালোই ছিল। এরপর তিনি ঢাকায় চাকরি করতে যাওয়ায় তার স্ত্রী প্রেমিক সাইফুল শেখের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে অভিসারে মিলিত হওয়ার কথা পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন। স্ত্রী তার প্রেমিক সাইফুল শেখের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। বাদী জানতে পেরে সাইফুল শেখকে নিষেধ করেন। এতে তারা পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ৩ মার্চ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাদীর মা সেহরি খেয়ে নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এই ফাঁকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘর থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা ও ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে সাইফুল শেখের সঙ্গে পালিয়ে যান বাদীর স্ত্রী।
এনিয়ে বাদী বলেন, আমি তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে না পেয়ে আদালতে মামলা করি। আমার মামলায় আমার স্ত্রীর বাবা সাক্ষী আছেন। আমার স্ত্রী ও তার প্রেমিক বুধবার আদালতে হাজির হয়। স্ত্রীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে হাজতে পাঠিয়ে সাইফুলের জামিন দেন আদালত। ওই গৃহবধূর বাবা শামিম আহসান বলেন, আমার জামাতার কোনো দোষ নেই। আমার মেয়েই দোষী।
এ বিষয়ে প্রেমিক সাইফুল শেখ বলেন, ওই গৃহবধূ তার স্বামীকে এ বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি তালাক দিয়ে আমাকে ৯ মার্চ বিয়ে করেছেন।
এআর