নোয়াখালী: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী ৫ (কবিরহাট উপজেলা- কোম্পানিগঞ্জে উপজেলা) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী সভায় উপস্থিত হয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সালের বিরুদ্ধে।
হঠাৎ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা, গোলাম মোমিত ফয়সাল নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য থাকাকালীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী ৫ আসনে ওবায়দুল কাদেরের নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে গেছেন বলে এমনটাই অভিযোগ ওঠে।
নৌকা মার্কার ব্যানারে দেখা যায় নোয়াখালী ৫ আসনের এমপি ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন এবং ওবায়দুল কাদের এর ব্যক্তিগত সহকারীর সাথে নৌকা মার্কার নির্বাচনী সভায় দেখা যায় নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সালকে, শুধু তাই নয় ২০২৪ সালে বঙ্গবন্ধু ডিসিএ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি সম্মাননা স্মারক ও তার ছবি দেখা যায়।
গত ০৫ মে ২০২৫ নোয়াখালী জেলা বিএনপির ৩৭ জন সদস্যকে নিয়ে গঠিত হয় জেলা আহ্বায়ক কমিটি, উক্ত কমিটি থেকে বাদ পড়েন সাবেক জেলা বিএনপি'র সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সাল। কিন্তু টাকার বিনিময়ে গোলাম মোমিত ফয়সাল কে পুনরায় জেলা বিএনপির সদস্য করবেন বলে এমন অভিযোগ ও উঠে আসে।
কবিরহাট উপজেলায় ছাত্রদলের এক অংশ বলেন, কবিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে গোলাম মোমিত ফয়সালের হাত ছিল, নেতাদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে ফয়সাল তার নিজের লোকদের কমিটিতে এনেছেন। এতে বঞ্চিত হয়েছেন দলের দুঃসময়ের ত্যাগী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এই নিয়ে কবিরহাট উপজেলায় বিএনপির ত্যাগী নেতা কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এ বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা জানান, যদি টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার নির্বাচনে প্রচারকারীকে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য করা হয়। তাহলে আমরা এই উপজেলার ত্যাগী নেতাকর্মীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।
গোলাম মোমিত ফয়সাল আওয়ামী লীগের দালাল দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের নৌকা মার্কার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করেছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে টাকা দিয়ে ও সহযোগিতা করেছিলেন তিনি।
দলের দুঃসময়ে তার কাছ থেকে কেউ কোনো কর্মী সহযোগিতা পাইনি। আমরা চাই আওয়ামী লীগের দালাল গোলাম মোমিত ফয়সালকে জেলা বিএনপির সদস্য যেন না করা হয় আমরা এর জোর দাবি জানাই। আমরা চাই দলের দুঃসময়ের ত্যাগীদের যেন মূল্যায়ন করা হয়।
এই বিষয় গোলাম মোমিত ফয়সালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো সব ভূয়া ভিত্তিহীন, ২০২০ সালে এক ভদ্রলোকের সাথে ২ কোটি টাকা ব্যবসায়িক কাজে লেনদেন ছিল, টাকাটা আত্মসাৎ এর কারণে আমি কবিরহাট থানায় একটি মামলা করি, ওই টাকার ইস্যুতে আমি শাহাদাত সাহেবের কাছে গিয়েছিলাম। তখন এটা নিয়ে বৈঠক করেছি ওনার সাথে।
এই বিষয় নোয়াখালী জেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক মাহবুব আলো জানান, সেন্ট্রাল কমিটি মহাসচিব তার নাম প্রস্তাবনা করেছেন, ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী প্রচারনায় কবিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই।
বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এআর







































