বরিশাল: স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও সিন্ডিকেট ভাঙাসহ তিন দফা দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বরিশালের ছাত্র-জনতা।
২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ হলেও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরিশালে না আসায় মঙ্গলবার থেকে আরও কঠোর ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পাঁচ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের পর সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আন্দোলনের মুখপাত্র নাভিদ নাসিফ জানান, রোববার বিকাল ৪টা থেকে সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বরিশালে এসে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনিয়মের তদন্ত ও সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে আবারও নথুল্লাবাদ এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ হবে। এর আগে অবরোধের সময় যাত্রীবাহী যানবাহন বিকল্প পথে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার থেকে কোনো যানবাহন বিকল্প রুটেও যেতে দেওয়া হবে না। এটি আন্দোলনের ১৫তম দিন।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মহিউদ্দিন রনি জানান, দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আমরা স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছি। সরকারি হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা, রোগীদের হয়রানি ও সিন্ডিকেট ভাঙা এই তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব।
তিনি আরও বলেন, বরিশালবাসীর আর্তনাদ এখনও মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেনি। যদি শেবাচিম হাসপাতালে রোগীদের দুর্নীতি, অবহেলা ও ভোগান্তি চলতেই থাকে, তাহলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।
আন্দোলনের শুরু থেকে প্রতিদিনই মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এর আগে অবরোধ চলাকালে বিকল্প রুটে যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হলেও, এবার থেকে সম্পূর্ণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধের ঘোষণা এসেছে, যা দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
এআর







































