• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে ট্রাক চাপায় সাংবাদিক মৃত্যুর ঘটনায় ট্রাক চালক গ্রেপ্তার 


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৭, ২০২৩, ০৩:৪০ পিএম
গাজীপুরে ট্রাক চাপায় সাংবাদিক মৃত্যুর ঘটনায় ট্রাক চালক গ্রেপ্তার 

ঢাকা: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বেপরোয়া গতিতে চলমান ডাম্প ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে সাংবাদিক মিলনের নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক ট্রাক ড্রাইভার আহাদ মিয়া’কে মুন্সিগঞ্জে লৌহজং থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (৭ আগস্ট) র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, ৪ আগস্ট সকাল ৯টায় গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কোর্টবাজালিয়া বাজারে বেপরোয়া গতির বালুবোঝাই একটি ড্রাম্প ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো ট-১৭-১০৮১) চাপায় প্রবীণ সাংবাদিক মঞ্জুর হোসেন মিলন (৫২) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। 

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পরের দিন কাপাসিয়া থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১০। এ সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। এ ঘটনায় ঘাতক চালককে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

তিনি বলেন, র‌্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১ এবং র‌্যাব-১০ এর একটি দল মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত ঘাতক ট্রাক চালক আহাদ মিয়াকে (২৬) গ্রেপ্তার করে। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র‌্যাব জানায়, আহাদ বালু ভর্তি ড্রাম ট্রাক নিয়ে কাপাসিয়া থেকে চাঁদপুর যাচ্ছিল। ট্রাকটিতে অতিরিক্ত ওজনের বালু বোঝাই থাকা সত্ত্বেও সে তারাতারি পৌঁছানের জন্য বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাতে থাকে।


 
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কোর্টবাজালিয়া বাজারে পৌঁছালে মোটরসাইকেল যোগে সংবাদ সংগ্রহ কাজে কাপাসিয়া যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে ভিকটিমকে বেপরোয়া গতির ড্রাম ট্রাকটি চাপা দিলে ভিকটিম ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। দুর্ঘটনার পর ঘাতক ট্রাক চালক ঘটনাস্থল হতে ট্রাকটি ফেলে পালিয়ে যায়।  

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আহাদ ৭ বছর ধরে মাহিন্দ্রা, পিকআপসহ বিভিন্ন ধরণের গাড়ি চালিয়ে আসছিল। তার মাঝারী যানবাহন চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেও ভারী যানবাহন চালানোর কোন বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। এছাড়াও ট্রাকটির ধারণ ক্ষমতা ০৮ টন থাকা সত্ত্বেও সে আনুমানিক ১৪ টন ওজনের বালু বোঝাই করে গাড়িটি চালিয়ে আসছিল।

দুর্ঘটনার পর সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে কোর্টবাজারে আসে এবং অটোযোগে কালিগঞ্জে চলে যায়। পরবর্তীতে সে সেখান থেকে তার বাড়ি পৌঁছায় এবং উক্ত দুর্ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানতে পারলে গ্রেপ্তার এড়াতে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় র‌্যাব গ্রেপ্তার হয়।

এক প্রশ্নের উত্তরে মঈন জানান, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স যেটা ছিলো সেটা দিয়ে এই ট্রাক চালানোর কথা না। আর এগুলো দেখ ভাল করা যাদের দায়িত্ব তারা সেটা পালন করেনি। এর আগেও একটি বাস দুর্ঘটনায় যে ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছিলো তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিলো না। এটাই চলে আসতেছে। 

তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে ট্রাকের মালিকের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না তা ক্ষতিয়ে দেখবে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা। যদি মালিককে আইনের আওতায় আনতে হয় তবে সেটা করবেন তিনি।

এআর

Wordbridge School
Link copied!