• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বেজায় বিনিয়োগ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে যাচ্ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২, ২০২১, ০৬:৪৯ পিএম
বেজায় বিনিয়োগ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে যাচ্ছে

প্রতিনিধি

ঢাকা : বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) চেয়ারপার্সন আবুল কাসেম খান। 

মঙ্গলবার  (২ মার্চ) বেজা কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আরো বেশি বেসরকারি খাতবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ণ ও যৌথ গবেষণার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

বেজার নির্বাহী চেয়ারনম্যান পবন চৌধুরী জানান, বেজা ইতিমধ্যে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে, যা কিনা শিগগির ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে যাচ্ছে। বড় বড় কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে মিরসরাই ইকোনমিক জোনে জমি বরাদ্দের জন্য বেজার কাছে আবেদন করছে।

মিরসরাই ইকোনমিক জোনকে গেমচেঞ্জার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই জোনটিতে জমি বরাদ্দ দেয়া প্রায় শেষের দিকে রয়েছে। ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় নিয়ে এই জোনটিকে কোম্পানিগঞ্জ, সিতাকু-, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, ইত্যাদি এলাকায় সম্প্রসারিত করা যেতে পারে। আড়াইহাজার ইকোনমিক জোনের সম্প্রসারণ ও সাবরাং টুরিজম পার্ক (১০৪৭ একর) এ জমি বরাদ্দ পুরোদমে শুরু হওয়ার বিষয়ে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরো জানান, দেশের ইকোনমিক জোনগুলো প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিভিন্ন মডেল অনুসরণ করে থাকে। একটি ভালো মডেল হতে পার ডিভিডেন্ড অ্যান্ড প্রফিট শেয়ারিং মডেল, যা কিনা ভারতের জয়পুরে আইসিটি পার্কে অনুসরণ করা হচ্ছে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান সামষ্টিক পর্যায়ে নীতিগত সংস্কারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং যেসব ইকোনমিক জোনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলোর কাজ সফলভাবে সুসম্পন্ন করার জন্য শক্তিশালী পরিচালনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহজীকরণ, প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ, এসএমইদের সহায়তা, সামাজিক পর্যায়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর স্পিলওভার প্রভাব, ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ প্রস্তাবনা নিয়ে বিল্ডকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বিভিন্ন দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর সফলতার বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ইকোনমিক জোন একেকটি নতুন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রস্থল হিসেবে কাজ করতে পারে। তিনি জানান, বিল্ড বর্তমানে একটি ধারনা নিয়ে কাজ করছে, যার নাম ‘এসইজেড দ্য নিউ ইকোনমিক ফ্রন্টিয়ার’। তিনি বলেন, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো শুধু অভ্যন্তরীণ পর্যায়েই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে না, এর বাইরেও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া এ অঞ্চলগুলো অন্যান্য অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতেও কাজ করে। প্রত্যেকটি ইকোনমিক জোনই সরকারের জন্য একটি ইকোনমিক ফ্রন্টিয়ার।

বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, সরকারি ও বেসরকারি ইকোনমিক জোনগুলো নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের সঙ্গে যে নীতিগত ঘাটতি রয়েছে  সেগুলো কমিয়ে আনতে হবে। তিনি জানান, ইকোনমিক জোনগুলোতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আকর্ষণে নীতিগত সংস্কারের জন্য সরকারকে সহায়তা প্রদানে এবং নিউ ইকোনমিক ফ্রন্টিয়ারের ধারণা জোরালো করতে শিগগির গবেষণা শুরু করবে বিল্ড।                                 

সোনালীনিউজ/আরএইচ

Wordbridge School
Link copied!