• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
বাজেট প্রত্যাশা

অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিলে পুঁজিবাজার আরও গতিশীল হবে: ডিবিএ সভাপতি


আবদুল হাকিম মে ১১, ২০২২, ০৩:৪৬ পিএম
অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিলে পুঁজিবাজার আরও গতিশীল হবে: ডিবিএ সভাপতি

ফাইল ফটো

ঢাকা : আসছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ শর্তহীন বিনিয়োগের সুযোগ দিলে বাজারে অর্থেও তারল্য বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকার মালিকদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও।

মঙ্গলবার (১০ মে) আসন্ন বাজেট নিয়ে সোনালী নিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান।

তিনি বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ শর্তহীন বিনিয়োগের সুযোগ দিলে বৃদ্ধি পাবে পুঁজিবাজারের গতিশীলতা। এছাড়াও দেশীয় শিল্প-অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটবে এবং অর্থ পাচার বন্ধ হবে।

এ ধরনের টাকা দেশে বিনিয়োগের ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ে কার্যকরী ভুমিকা রাখবে। তাই কোন প্রকার শর্ত ছাড়াই এ ধরনের অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ সরাকর দিবেন বলে প্রত্যাশা করেন গ্লোবাল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোজারিও।

তরুন এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখতে হলে এবং বাজারে উন্নয়ন বাড়াতে হলে আসন্ন বাজেটে প্রয়োজনী কিছু পদক্ষেপ নিয়ে তা বাস্তাবায়ন করতে হবে। যেমন সিকিউরিটিজ লেনদেনের উপর অগ্রিম আয়কর কমাতে হবে। যা বর্তমানে ০.০৫ শতাংশে আছে, এটা কমিয়ে ০.০১৫ শতাংশ করা প্রয়োজন। 

এতে করে অগ্রিম আয়কর নীতি ও কাঠামো, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনায় প্রকৃত অবস্থান প্রতিষ্ঠিত হয়ে আইনের প্রতি কর প্রদানকারীর সন্তুষ্ঠি ও আস্থা তৈরিসহ শতভাগ পরিপালন হবে বলে তিনি মনে করেন। 

এছাড়াও বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের উপর কমিশন সুবিধা পেয়ে বিনিয়োগে আরো বেশি আগ্রহী হবে বলে মত দেন রোজারিও।

ডিবিএ সভাপতি বলেন, ভালো লভ্যাংশ দেয় এমন সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ বাড়াতে হলে এবং ডিভিডেন্ডের দিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখে অপেক্ষাকৃত দুর্বল কোম্পানিগুলো তাদের আর্থিক উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক উন্নয়নে মনোযোগী করতে ব্যক্তি পর্যায়ে ডিভিডেন্ড আয়ের উপর কর মুক্ত সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত করা দরকার। এতে করে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবে।

তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আগ্রহী তৈরি করতে ও মূল প্রতিষ্ঠান তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগে আর্থিক সহায়তা প্রদানে আরো বেশি আগ্রহী করতে এবং নতুন বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে বাড়াতে প্রাতিষ্ঠানিক ডিভিডেন্ড আয়ের উপর অগ্রিম আয়কর কমিয়ে ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ, পূর্ণাঙ্গ ও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। এতে করে পুঁজি উত্তোলনের সুযোগ সৃষ্টিসহ বাজারে লেনদেন গতি বৃদ্ধি পাবে।

সোনালীনিউজ/এএইচ/এনএন

Wordbridge School
Link copied!