• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শুক্রবার গরুর গোশত দিয়া ভাত খামু, সেই দিন আর নাই


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৭, ২০২২, ১১:৫৯ এএম
শুক্রবার গরুর গোশত দিয়া ভাত খামু, সেই দিন আর নাই

ঢাকা: দুই বছর আগেও এক কেজি গরুর মাংস পাওয়া যেত ৫০০ টাকায়। বর্তমানে সেই মাংস কিনতে হচ্ছে ৭০০ টাকায়। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। গত ঈদুল ফিতরের আগেও গরুর মাংসের কেজি ছিলো ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। ঈদ আসতেই এক লাফে দাম বেড়ে হয়ে গেল ৭০০ টাকা। আর কমার নাম নেই। 

দেশের বেশিরভাগ মানুষের প্রতিদিনের যে আয় তাতে এসব মানুষের পক্ষে সপ্তাহে অন্তত একদিন গরুর গোশত দিয়ে ভাত খাওয়ার দিন বুঝি শেষ!

ক্রেতারা বলছেন, গত শবেবরাতের দিন একলাফে কেজিতে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয় গরুর মাংস। পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে কেজিতে আরো ৩০ থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়।এরপর থেকেই ৭০০ টাকা কেজি।

এমন পরিস্থিতিতে গরিবের কথা না হয় বাদই দিলাম, মধ্যম আয়ের মানুষও এখন আর গরুর মাংস কেনার সাহস করছে না। অনেক পরিবার শুধু বাড়িতে অতিথি এলে নিরুপায় হয়ে গরুর মাংস কেনার সাহস দেখায়। আর গরিবের গরুর গোশত মেলে চল্লিশা-কুলখানি বা আকিকার অনুষ্ঠানে। 

একটি গণমাধ্যমের খবর মতে, শুক্রবার (২৭ মে) রাজধানীর বউ বাজারে মাংসের দোকানে ঘুরছিলেন সুফিয়া বেগম নামের এক নারী। স্থানীয় একটি মেসে রান্না করেন তিনি। তাই নিয়মিত নিজেই বাজার করেন। শুক্রবার বলে মেসে আজ গরুর মাংস খাওয়ানোর কথা। কিন্তু ২৩ জনের মেসে বাজারের খরচের লিমিট ১৫০০ টাকা। এর মধ্যেই সব কিনতে হবে। তাই গরুর মাংস আর কেনা হয়নি সুফিয়ার।

তিনি বলছেন, গরু বাদ দিয়ে দুই কেজি মুরগির মাংস কিনেছি, সাথে দুই ডজন ডিম। এর বাইরে চাল, ডাল, মসলা ও সবজিও কিনতে হবে বাকি টাকার মধ্যে। 

এমন পরিস্থিতি কেন হলো? তথ্য বলছে, দেশে প্রতিবছর বাড়ছে গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়ার উৎপাদন। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় চার লাখ পশু উৎপাদন বেড়েছে। এর মধ্যে এক লাখ ৫৪ হাজার গরু। চাহিদার তুলনায় মাংস উদ্বৃত্ত ১০ লাখ মেট্রিক টন। তার পরও গরুর মাংসের দাম কেন বাড়ছে সে উত্তর দেয়ার লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল!

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!