• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ক কর্মশালা সিএসইর


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২২, ২০২৩, ০৯:০১ পিএম
অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ক কর্মশালা সিএসইর

চট্টগ্রাম: অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ক দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

বিএসইসির প্রতিকার ব্যবস্থা কমিটি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে ২১-২২ মে সিএসইর কর্মকর্তাদের জন্য অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ক দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ও এপিএ টিম লিডার মো. আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন । এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও আপিল কর্মকর্তা (অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা ) মো. সাইফুর রহমান এবং সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম ফারুক ।

অনুষ্ঠানে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিডিবিএল-এর মহাব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী এবং আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির অন্য কর্মকর্তারা।

কমিশনার ও এপিএ টিম লিডার মো. আব্দুল হালিম বলেন, এই মডিউল-এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা তাদের অভিযোগ সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে দিতে পারেন । আমাদের টিম সেক্ষেত্রে কেস টু কেস সমস্যা / অভিযোগকে সমাধানের উপায় বের করে এবং দ্রুত সময়ে সমাধান করছে । এছাড়াও আমাদেরকে গুরুত্বের সাথে কাজের ক্ষেত্রকে আরও সুস্পষ্ট করার জন্য কাজ করতে হবে এবং যে অভিযোগগুলো ইতিমধ্যে আমরা পেয়েছি সেগুলোর সমাধানের সময় কমাতে হবে।একই সাথে ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ যেন না আসে সে ব্যাপারে অগ্রিম ব্যবস্থা নিতে হবে ।

‘আমাদেরকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে এবং মনে রাখতে হবে সমস্যার উৎসকে চিহ্নিত করে তার সঠিক এবং কার্যকরী দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করাই হলো আমাদের কাজের লক্ষ্য।’

সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম ফারুক বলেন, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (Grievance Redress System), বা জিআরএস (GRS) হল, মূলত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রদানকৃত সেবা নিশ্চিতকরণের একটি প্ল্যাটফর্ম । জিআরএস ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি দপ্তরে বাংলাদেশের একজন নাগরিক যে কোনো সেবার বিরুদ্ধে তার অসন্তোষ বা ক্ষোভ জানিয়ে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। এটি সেবা প্রদানের উন্নতি, স্বচ্ছতা, উন্নত এবং স্থানীয় পর্যায়ে সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে জবাবদিহিতা বাড়ানোর উপায়গুলো চিহ্নিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে ৷ যখন একজন বিনিয়োগকারী বা আর্থিক ভোক্তা অসদাচরণ বা অবৈধ অনুশীলনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন সমস্যাটির সমাধানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থার অস্তিত্ব শুধুমাত্র সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির জন্যই নয়, বাজারের শৃঙ্খলার উন্নতি এবং আর্থিক বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির মতো ইতিবাচক বাহ্যিকতা তৈরি করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ । IOSCO পদ্ধতি স্বাধীন, সাশ্রয়ী, ন্যায্য, জবাবদিহিমূলক, সময়োপযোগী, এবং দক্ষ প্রতিকার ব্যবস্থায় অ্যাক্সেসের গুরুত্বকে স্পষ্ট করে । এরই ধারাবাহিকতায় BSEC পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য যে কাস্টমার কপ্লেইন এড্রেস মডিউল (CCAM) চালু করেছে যা ইতোমধ্যে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখন বিনিয়োগকারীরা খুব দ্রুত তাদের অভিযোগ সমূহ নিস্পত্তি করতে পারছে, এজন্য বিএসইসিকে তিনি অভিনন্দন জানান এবং বলেন প্রশিক্ষণার্থীরা এই কর্মশালা থেকে অনেক উপকৃত হবেন।

প্রশিক্ষণটিতে অংশগ্রহণকারীরা এই অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ক মডিউল এর উপর সামগ্রিক পরিচালনা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন । সিএসইর কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণটিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ভবিষ্যতে এই মডিউলটি আরও উন্নত ও কার্যকরী করার জন্য তাদের মতামত প্রদান করেন ।

সোনালীনিউজ/এএইচ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!