• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারি কর্মচারীদের জন্য যা আছে বাজেটে


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১, ২০২৩, ০৬:১৪ পিএম
সরকারি কর্মচারীদের জন্য যা আছে বাজেটে

ঢাকা: জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী অ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় বাজেট উত্থাপন শুরু করেন তিনি। 

এর আগে বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে বাজেট উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক বসে। ওই সময় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা (পরিচালন) বাবদ বরাদ্দ বেড়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিচালন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৩ কোটি টাকা। বিগত অর্থ বছরে যা ছিলো (পরিচালন এবং উন্নয়ন) ৪ হাজার ১১১ কোটি টাকা। 

বাজেট বক্তৃতায় অর্থ মন্ত্রী বলেন,  সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবামুখী মানসিকতা গঠন ও দক্ষতা উন্নয়নে দেশে-বিদেশে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। চাকুরিকালীন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ এবং মেধাভিত্তিক বৃত্তি ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের দক্ষতা বাড়ছে। কর্মকর্তাকর্মচারীগণের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানসিকতা উন্নয়নের পাশাপাশি দ্রুততার সাথে সেবা প্রদানের জন্য ডিজিটাল অবকাঠামো ও পদ্ধতি প্রবর্তন করা হচ্ছে। সকল সরকারি সেবা পাওয়ার জন্য ‘My Gov’ ও ‘একসেবা’ (Ek-seba) নামের প্ল্যাটফরম তৈরি করা হয়েছে। 'My Gov’-এর সেবাগুলো কল সেন্টারের মাধ্যমে জানার জন্য ‘333’ চালু আছে এবং Digital Identity Verificationএর জন্য ‘পরিচয়’ সফটওয়্যার তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরকারি কাজে সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা ও গতি বৃদ্ধির স্বার্থে বর্তমানে ব্যবহৃত ই-নথির পরবর্তী ভার্সন ডি-নথি চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল সরকারি দপ্তরে ডি-নথি ব্যবহার শুরু করা হবে। 

বাজেট তথ্য অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে শূন্যপদের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রশাসনে মোট অনুমোদিত ১৯ লাখ ১৫১টি পদের বিপরীতে কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন। এর আগের বছর (২০২১ সালে) পথ ফাঁকা ছিল তিন লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি।

জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিসংখ্যান নিয়ে ২০২২ সালের ‘স্ট্যাটিসটিকস অব গভর্নমেন্ট সার্ভেন্টস’ বই থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংস্কার ও গবেষণা অনুবিভাগের পরিসংখ্যান এবং গবেষণা কোষ প্রতি বছর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিসংখ্যানের বই প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০২১ সালের পরিসংখ্যান নিয়ে বইটি প্রকাশিত হয়েছে।

মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পর্যায়ে ২১ হাজার ৭০৯টি পদের মধ্যে শূন্য ৬ হাজার ৮২১টি, সংস্থা ও অধিদপ্তর পর্যায়ে ১৪ লাখ ২২ হাজার ৮২৮টি পদের মধ্যে শূন্য ৩ লাখ ২৫ হাজার ৩৩৬টি। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক অফিসে ৪০ হাজার ২৭৩টি পদের মধ্যে পদ খালি রয়েছে ১৩ হাজার ৩৫৭। বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং করপোরেশনে মোট খালি পদ এক লাখ ৫৭ হাজার ৮১৯ টি, এখানে মোট পদের সংখ্যা ৪ লাখ ১৫ হাজার ৩৪১টি।

সরকারি চাকরিতে গত বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক পদ ফাঁকা ছিল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৪ জন। ফাঁকা আছে ৬৪ হাজার ৫৮২টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ২ লাখ ৯১ হাজার ১১১টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৪ জন। ফাঁকা রয়েছে ৯৭ হাজার ৪৪৭টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৪০টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ৩ হাজার ৪৩৩ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৬০৭টি পদ।

অন্যদিকে, ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬৯টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ১৫ হাজার ১০৪ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৬৫টি পদ।

আর সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১১ হাজার ৪৩৫টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৫ হাজার ১০৩ জন। ফাঁকা রয়েছে ৬ হাজার ৩৩২টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!