• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নাগালের বাইরে যাচ্ছে গরিবের প্রোটিন


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১১, ২০২৩, ১১:৩৩ এএম
নাগালের বাইরে যাচ্ছে গরিবের প্রোটিন

ঢাকা: দেশে প্রতিদিন বাণিজ্যকভাবে ৪ কোটির মতো ডিম উৎপাদন হয়ে থাকে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকায় দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় ফের বেড়েছে গরিবের প্রোটিনখ্যাত ডিমের দাম।

শুক্রবার (১১ আগস্টের) ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়। আর পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৭০ টাকা, যা আগে ১৫০ টাকা ছিল।

ডিমের দামে সর্বকালের রেকর্ড ছাড়ালেও নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে তদারকি সংস্থা। ফলে আগে এক পিস ডিম ক্রেতাসাধারণ ১২ টাকা কিনতে পারলেও এখন ১৪-১৫ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

বাজারে শুধু ডিম নয়, গত এক সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দামও কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজও কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এর সঙ্গে গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে প্রান্তিক খামারি ও খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করলেও ডিমের বাজার দরের বিষয়ে এখনো কোনো মানদণ্ড ঠিক করেনি।

মন্ত্রণালয় ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা অনুমোদন করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ১৪০ টাকার মধ্যে। এরপর থেকে মুরগির দাম পর্যায়ক্রমে ১৬৫ টাকা থেকে বেড়ে গতকাল পর্যন্ত ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায় উঠেছে।

অন্যদিকে উৎপাদন খরচ নির্ধারণ না হওয়ায় ডিমের বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনো ধারণা করা যাচ্ছে না। খামারি পর্যায় থেকে জানা গেছে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ব্যয়সহ বর্তমানে প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১১ টাকার বেশি, যা পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত। আর দুদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি ডজন (১২ পিস লাল/বাদামি) ডিম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে ডিম সংগ্রহ ও সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, সেজন্য দাম বাড়ছে। অন্যদিকে প্রান্তিক খামারিদের দাবি, পোলট্রি খাদ্যের দামের বিপরীতে ডিমের দাম তুলনামূলক কম। পাশাপাশি বৃষ্টিপাত বাড়ার কারণে খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লোকসানে পড়ে অনেক খামারি ব্যবসা বন্ধ রেখেছেন। এ সুযোগে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদার সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

যদিও ডিমের উৎপাদন খরচ নিয়েও কাজ করছে মন্ত্রণালয়। চলতি বা আগামী মাসের মধ্যে ডিমের উৎপাদন ব্যয় ঠিক করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সোনালীনিউজ/এএইচ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!