ঢাকা: নির্ধারিত সময়ে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম করতে পারেনি এস আলমের মালিকানাধীন গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। এ কারণে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটিকে দুর্বল মানের কোম্পানি হিসেবে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ব্যাংকটিকে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এত দিন এটি ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানি হিসেবে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত ছিল।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। ডিএসইর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, শ্রেণি অবনতি হওয়ায় আজ থেকে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ঋণসুবিধা পাবেন না বিনিয়োগকারীরা।
ডিএসই জানিয়েছে, গত বছরের মে মাসে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে জেড শ্রেণিভুক্ত করার নতুন নির্দেশনা জারি করে। সেই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি তাদের বার্ষিক সাধারণ সভা করতে ব্যর্থ হলে ওই কোম্পানিকে জেড শ্রেণিভুক্ত করা হবে।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক গত বছরের জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল, সেই লভ্যাংশ অনুমোদনে বার্ষিক সাধারণ সভার তারিখ নির্ধারণ করা হয় গত বছরের ৮ আগস্ট। কিন্তু তার আগে জুলাইয়ে শুরু হওয়া কোটাবিরোধী আন্দোলন ও পরবর্তীকালে সরকার বদলের ঘটনায় ওই সভা স্থগিত করা হয়। এরপর ছয় মাস অতিবাহিত হলেও ব্যাংকটি আর এজিএম করতে পারেনি। এর মধ্যে সরকার বদলের পর গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদও পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এস আলমের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করতে ব্যাংকটির পর্ষদে নিয়োগ দেওয়া হয় স্বতন্ত্র পরিচালক।
এদিকে পর্ষদ বদল করা হলেও এখনো ব্যাংকটির মালিকানার বড় অংশই রয়েছে এস আলম ঘনিষ্ঠদের হাতে। শুরুতে ব্যাংকটির নাম ছিল এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক। একসময় এটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন আর্থিক খাতে কেলেঙ্কারির জন্য আলোচিত ব্যক্তি প্রশান্ত কুমার হালদার, যিনি পি কে হালদার নামেই বেশি পরিচিত। পরে পি কে হালদার কেলেঙ্কারির পর ব্যাংকটির নাম বদল করে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক করা হয়।
এএইচ/আইএ