ছবি প্রতিনিধি
ঢাকা: বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে বা সচল রাখতে আরোপিত ফি প্রত্যাহার এবং বিনিয়োগকারীদের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ নগদে জমা বা উত্তোলনের প্রস্তাব সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এছাড়া শেয়ারবাজার বিষয়ে প্রতি মাসের শেষে সকল অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
শনিবার (১৭ মে) বিএসইসির ডাকে শেয়ারবাজার অংশীজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী আজ রোববার ডিএসইর কার্যালয়ে বৈঠক করবেন। গত ৮ মে চট্টগ্রামে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসা গ্রুপ এবং স্টক এক্সচেঞ্জ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) দায়িত্বে আছেন। এছাড়া গত ১৭ মার্চ এফআইডি থেকে শেয়ারবাজার উন্নয়নে গঠিত কমিটির সভাপতি তিনি।
বৈঠকে অব্যাহত দর পতন ঠেকাতে স্বল্পমেয়াদি বা তাৎক্ষণিক সমাধান কী হতে পারে, সে বিষয়ে মতামত চান বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, আলোচনায় বড় অংশ জুড়ে ছিল বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত ব্যাংক হিসাবের সুদ আয় কে পাবে, কেন পাবে এবং বিকল্প কী হতে পারে– এমন বিষয় নিয়ে। এ নিয়ে মীমাংসা আগেই হয়েছিল। আবারও আলোচনার কথা বলে এটি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন একটি ছোট ইস্যু বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রাখার অর্থই হলো বাজার আসলে মৌলিক সংকট বোঝে না। বিনিয়োগকারীদের আস্থা দ্রুত ফিরিয়ে আনতে কী করতে হবে– এমন প্রশ্নে কেউ বলেছেন, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান বাড়াতে হবে। আবার কেউ বলেছেন, মূলধনি মুনাফায় কর প্রত্যাহার করতে হবে। লভ্যাংশে উৎসে করকে চূড়ান্ত কর হিসেবে গণ্য করতে হবে।
আলোচনার পরিবেশ কেমন ছিল? এমন প্রশ্নে একজন কর্মকর্তা বলেন, খুবই আন্তরিক পরিবেশ ছিল। যদিও বাজার সমস্যা সমাধানে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়নি। আগে অংশীজনদের গুরুত্ব না দিয়ে বিএসইসি নিজের মতো চলার নীতিতে ছিল। এখন মনে হচ্ছে, নীতি বদলাতে চাচ্ছে। এটি ইতিবাচক। তারা প্রতি মাসের শেষে অংশীজনদের সঙ্গে বসবে, সমস্যা থাকলে শুনবে, পরামর্শ থাকলে তাও নেবে বলে জানিয়েছে।
বাজার পরিস্থিতি: এদিকে ঈদের দীর্ঘ ছুটি পুষিয়ে নিতে সরকারের সিদ্ধান্তে গতকাল অন্যান্য অফিসের মতো শেয়ারবাজারও খোলা ছিল। ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ২৫৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৭৩টির। এতে ডিএসইএক্স সূচক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪৮২০ পয়েন্টে উঠেছে। তবে লেনদেন ৩৪ কোটি টাকা কমে ২৬৩ কোটি টাকার নিচে নেমেছে।
এসআই