• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

বিজিএমইএ‍‍`র নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ফোরাম জোটের বিজয়


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১, ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
বিজিএমইএ‍‍`র নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ফোরাম জোটের বিজয়

ছবি : প্রতিনিধি

ঢাকা: দেশের পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ফোরাম জোট। ঢাকায় ২৬টি পরিচালক পদের মধ্যে ফোরাম জোট পেয়েছে ২৫টি। আর চট্টগ্রামে ৯টি পরিচালক পদের মধ্যে ৫টি পদে জয়লাভ করেছে এই জোটের প্রার্থীরা। নির্বাচিত পরিচালক আগামী ২ জুন ভোট দিয়ে সভাপতি, সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন।

এবারের বিজিএমইএ’র নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে অংশ নেন মোট ৭৬ প্রার্থী। ফোরাম জোট ও সম্মিলিত পরিষদ ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী দেয়। বাকি ৬ জন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে স্বতন্ত্রভাবে ভোট করেছেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু-তে সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট একটানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। 

নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে মোট ১ হাজার ৮৬৪ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৬৩১ ভোটার ভোট দিয়েছে। এর মধ‍্যে ঢাকায় ১৩৭৭ ও চট্টগ্রামে ২৫৪ ভোট কাস্ট হয়েছে; যা মোট ভোটারের প্রায় ৮৭ শতাংশ।

তথ্য মতে, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২৫৪টি ভোটের মধ্যে বাতিল হয় ৬টি ভোট। মোট ৯টি পরিচালক পদের বিপরীতে ফোরাম জোট ৫টি পদে জয়ী হয়।

এবারের নির্বাচনে প্যানেল লিডার হিসেবে ফোরাম জোটের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাইজিং ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান (বাবু)। পাশাপাশি সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব দিয়েছেন চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম।

ফোরামের মহাসচিব ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী বলেন, বিজিএমইএ দীর্ঘদিন দলীয়ভাবে পরিচালনা হয়েছে। এবার কোনো প্রভাব ছাড়া নির্বাচন হবে। ভোটাররাও আগ্রহ নিয়ে বসে আছে। জয়ের জন্য আমরা শতভাগ আশাবাদী।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিজিএমইএ’র সভাপতি আব্দুল মান্নান কচি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। অজ্ঞাতস্থান থেকে পদত্যাগ পাঠান তিনি। এরপর বিজিএমইএ’র দায়িত্ব নেন ডিজাইনটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার রফিকুল ইসলাম। খন্দকার রফিকের নেত্বত্বে পুনর্গঠিত বোর্ড পোশাক খাতের অস্থিতিশীলতা সামাল দিতে না পারায় ২০ অক্টোবর রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে এবারের তালিকা থেকে অস্তিত্বহীন ৬৩২ ভোটার বাদ পড়েছে। নির্বাচনে নিয়ন্ত্রণে অদৃশ্য শক্তির দৌড়ঝাঁপ নেই। ভোটগ্রহণকে ক্রেন্দ্র করে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ নির্বাচনকে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক, বাধাহীন ও গ্রহণযোগ্য করাকে সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন প্রার্থীরা। সাধারণ গার্মেন্টন মালিকরা আশা করছেন, উৎসবমুখর পরিবেশে পছন্দ মতো নিজেদের নেতৃত্ব বাছাই করে নিতে পারবেন। পতিত সরকারের সময় নিয়ন্ত্রিত আর কারচুপির যে নির্বাচন হয়েছে, এবার তার ব্যতিক্রম হবে।

এসআই

Wordbridge School
Link copied!