ঢাকা: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সহজ না। পাচারের টাকা পেলে বাজেট সাপোর্টের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে যেতে হতো না। যারা টাকা পাচার করেন তাদের অত্যন্ত বুদ্ধিমান।
এরপরও সম্ভব তবে সময় লাগবে। আমরা বলেছি, এক-আধ বছর লাগতে পারে, সেই প্রসেস শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাইজুল কবির, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরকে সঙ্গে নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন অর্থ উপদেষ্টা।
পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাচার হওয়া কালো টাকা দেশে আনা বিষয়ের বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে কাজ হচ্ছে। পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সহজ কিন্তু না। যারা টাকা পাচার করে তারা অত্যন্ত বুদ্ধিমান লোক, লেয়ারিং করে করে টাকা পাচার করে। এমন না যে ধপ করে টাকা পাঠিয়ে দিলাম। আপনি কোথায় টাকা পাঠাবেন সেটা সরাসরি না, ঘুরে ঘুরে টাকা যায়।
‘এগুলো ট্রেস করা হচ্ছে। সময় লাগবে তবুও প্রোগ্রেস হচ্ছে। নাইজেরিয়াতে ২০ বছর লেগেছে। আমরা বলেছি, এক-আধ বছর তো লাগতে পারে সেই প্রসেস শুরু হয়েছে। এটা সত্য পাচার হওয়া কালো টাকা পেলে আমার বাজেট সাপোর্ট কম লাগতো। আইএমএফের কাছে আর যেতে হতো না। দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেটা পারিনি’ বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, অনেকেই বলেছেন কালো টাকা সাদা করে দেওয়া ঢালাওভাবে। কালো টাকা কিন্তু ঠিক কালো টাকা না, আমরা বলছি অপ্রদর্শিত আয়। অপ্রদর্শিত আয় যদি থাকে শুধু ফ্ল্যাটের ব্যাপারে একটা বিধান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা কালো টাকা না।
এআর







































