• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

রিজার্ভ চুরির দুই বছর : হিমঘরে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট


বিশেষ প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৮, ০২:১৪ পিএম
রিজার্ভ চুরির দুই বছর : হিমঘরে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট

ঢাকা : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের সাড়ে আটশ কোটি টাকা চুরির ঘটনার দুই বছর সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি)। এর মধ্যে ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের মাধ্যমে লোপাট অর্থের ৫৩০ কোটি টাকা এখনো ফেরত পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় শাস্তির আওতায় আসেনি কেউ। চুরি যাওয়া অর্থের পুরোটাই ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে এখনো আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক।

সুইফট মেসেজিং সিস্টেম জালিয়াতি করে ২০১৬ সালের পাঁচ ফেব্রুয়ারি ভোরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৮শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা।

৫টি ভুয়া বার্তায় ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশের ৮শ কোটি টাকা যায় শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনে। এর মধ্যে সাড়ে ৬শ কোটি টাকা ফিলিপাইন রিজাল ব্যাংকের মাধ্যমে চলে যায় ম্যানিলার কয়েকটি ক্যাসিনোতে।

প্রায় একমাস পর ঘটনা জানাজানি হলে নড়েচড়ে বসে সরকার। সমালোচনার মুখে গভর্নরসহ শীর্ষ পদে আসে পরিবর্তন। ঘটনা তদন্তে সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে গঠিত কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলেও এখনো তা প্রকাশ করেনি সরকার। সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের সময়ও এ পর্যন্ত ২০ বার পিছিয়েছে।

গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, ফিলিপাইন থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার ফেরত এসেছে। আরও ১২ লাখ ডলার ফেরত আসার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে।

এর বাইরে ৫ কোটি ডলার ফেরত আনার বিষয়টি আদালতের প্রক্রিয়ায় আছে। আরও ৬০ লাখ ডলার আনার আলোচনা করতে ফিলিপাইনে গেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিআইডির একটি দল।

পুরো টাকা ফেরত আনার বিষয়ে ফিলিপাইনের বিভিন্ন সংস্থার সাথে আলোচনা চলার কথা জানিয়েছেন দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারে রিজাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলার পরিকল্পনা করছে সরকার। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, অর্থ ফেরতে রিজাল ব্যাংকের গড়িমসির কারণে ব্যাংকটিকে পৃথিবী থেকে বিদায় করতে চান তিনি।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!