• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্থবিরতায় হতাশ চাকরীপ্রার্থীরা

পুলিশ ভেরিফিকেশনে আটকে আছে ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২১, ২০২১, ০১:০০ পিএম
পুলিশ ভেরিফিকেশনে আটকে আছে ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ

ঢাকা : প্রাথমিকভাবে সুপারিশের পরও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে আছে। পুলিশ ভেরিফিকেশন না হওয়ায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে পারছে না।

প্রাথমিক সুপারিশ পাওয়ার পর প্রায় পাঁচ মাস কেটে গেলেও পুলিশ ভেরিফিকেশন না হওয়ায় নিয়োগপ্রার্থীরাও হতাশা ও অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন।

এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমরা ভেরিফিকেশনের তালিকা অনেক আগেই পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা মৌখিকভাবে অনুরোধ করেছি, যেহেতু সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শিক্ষকসংকট রয়েছে, তাই যত দ্রুত সম্ভব ভেরিফিকেশনের কাজ যেন শেষ করা হয়।’

পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন। বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) এটা সম্পন্ন করে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শেষ হতে এক বছরও লেগে যেতে পারে। কারণ, সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত পুলিশ। তাই ভেরিফিকেশনের কাজ সেভাবে এগোয়নি।

জানতে চাইলে সুরক্ষা সেবা বিভাগের নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কয়েক ধাপে ভেরিফিকেশন ফরম পেয়েছি। পাওয়ার পরই সেগুলো এসবিকে দিয়ে দিয়েছি। অনেক জায়গায় ভেরিফিকেশন চলছেও। এটা একটা সময়সাপেক্ষে ব্যাপার।’ তবে কবে নাগাদ এ প্রক্রিয়া শেষ হবে, তা জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

সারা দেশের বেসরকারি পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ৩০ মার্চ ৫৪ হাজার শূন্যপদের বিপরীতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। জুলাইয়ে প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ৩৮ হাজার ২৮৬ পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। আবেদন না পাওয়া ও নারী কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকায় বাকি পদগুলোয় কাউকে সুপারিশ করা হয়নি। এরপর প্রায় পাঁচ মাস কেটে গেলেও স্থবির হয়ে আছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।

হতাশা প্রকাশ করে প্রভাষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত রিফাত আরা বলেন, ‘একটা এনজিওতে চাকরি করতাম। চাকরি ছাড়ার দুই মাস আগে অফিসকে জানাতে হয়। এনটিআরসিএর সুপারিশ পাওয়ার পরই অফিসে চাকরি ছাড়ার নোটিশ দিই। ভেবেছিলাম দু-চার মাসের মধ্যে নিয়োগ শেষ হবে। এখন তো দেখছি, ভেরিফিকেশনেরই খবর নেই। কবে কী হবে? ধারদেনা করে চলা লাগছে এখন।’ সূত্র : আজকের পত্রিকা

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!