• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মহসীনের প্রয়াণে তারকাদের শোক


বিনোদন প্রতিবেদক এপ্রিল ১৮, ২০২১, ০৩:২২ পিএম
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মহসীনের প্রয়াণে তারকাদের শোক

ঢাকা : করোনার সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা এস.এম মহসীন।

রোববার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

এদিকে তার মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন ছাত্র-সতীর্থরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রিয় মানুষটিকে প্রকাশ করেছেন আবেগমিশ্রিত কথা।

নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, “আপনার না আমার সাথে ১২/১৩ এপ্রিল শুটিং ছিল? আপনি না স্ক্রিপ্ট খুব পছন্দ করলেন? তো! না বলে এইভাবে ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন আপনি??? স্যার, এমন তো কথা ছিল না। অসাধারণ মানুষগুলো কেন চলে যাচ্ছে স্যার? হায় ঈশ্বর! কতো স্মৃতি, কতো কথা, কতো আবদার। আংকেল সেই ছোটবেলা থেকে বিনা স্বার্থে খবর নিতেন নিজ থেকে! আহারে আংকেল! এত ভালো একজন মানুষ ছিলেন আপনি! আপনার হাসি, আপনার আদর, আপনার স্নেহ—সব মিস করবো।”

শিল্প নির্দেশক উত্তম গুহ লিখেছেন, “মহসিন ভাই, অনেক ভালো কাজ আপনার সাথে আমার হয়েছে। আপনার কণ্ঠে আদরের উত্তম ডাকটা আজও কানে বাজে। আপনি ছিলেন একজন সাত্ত্বিক মানুষ। আপনার চলে যাওয়াটা খুব কষ্টের। ওপারে শান্তিতে থাকুন, কামনা করি অহর্নিশ।”

অভিনেত্রী গোলাম ফরিদা ছন্দা লিখেছেন, “মহসিন স্যার আপনিও! কি হলো!! অন্তত আপনার বেলায় ভেবেছিলাম এত সুস্থ একজন মানুষ আপনি, যার কোনোদিন জ্বর পর্যন্ত হয়নি- ঠিকই সারভাইব করে ফেলবেন। আমরা তো স্যার গতমাসের ৯ তারিখে একসাথে কাজ করলাম! সেই একইভাবে আমাকে ‘বাবু’ ‘বাবু’ বলে কথা বললেন, সতীর্থকে ফোন করলেন। আমার মোবাইলে টাপুর টুপুরের ছবি দেখলেন! আমার হাত থেকে নিয়ে ঠাণ্ডা কোক খেলেন।”

তিনি আরও লিখেছেন, “এক শিল্পীর সংলাপ প্রক্ষেপণ ঠিক হচ্ছে না বলে কি মন খারাপ করলেন। কিন্তু আজ কি হলো স্যার, সব আশা পণ্ড করে দিয়ে আপনি চলে গেলেন। এভাবে একের পর এক সবার চলে যাওয়া! মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর স্যার। আপনারা এতো কিছু বুঝতেন, কিন্তু এটা কিছুতেই বুঝতে চাইছেন না! ভালো থাকুন স্যার, নিশ্চিন্তে ঘুমান প্রিয় শিল্পী—চিরশান্তিময় হোক এ যাত্রা।”

নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার লিখেছেন, “প্রাণের মানুষ ফরিদ ভাই যেতে না যেতে কবরী আপার সংবাদ পেলাম। তারপরই ওয়াসিম! ওয়াসিমের সংবাদ পড়ে শেষ করতে পারিনি, পেলাম মহসিন ভাইয়ের খবরটা। আমাদের প্রিয়, আমাদের ভালবাসার, আমাদের আত্মার হাসিমুখ মহসিন ভাই। বিদায়ের এই মহা আয়োজনে কাঁপছি আমি। হাউ-মাউ করে কান্না আসছে মহসিন ভাই। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি।”চলচ্চিত্র নির্মাতা স্মৃতিচারণ করে লিখেছেন, “মহসিন স্যার আমার অভিভাবক ছিলেন, ১৯৯৮ সাল হতে। তখন জাহাঙ্গীরনগরে পড়াতেন আমাদের। এই কদিন আগে পরিচালক সমিতির ভোটের দিনও স্যার বলেছিলেন, অনেকদিন কাজ হয় না দীপংকর। আমি বলেছিলাম, সামনেই হবে স্যার। হলো না স্যার। আই অ্যাম সো সরি স্যার। আমার কান্না পাচ্ছে স্যার।”

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!