চুয়াডাঙ্গা: তীব্র দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। টানা তিন দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় জেলার ওপর দিয়ে যাচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তীব্র গরম ও কাঠফাটা রোদের তাপের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান ও রিকশাচালকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। তীব্র গরমে সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে। হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ গরমজনিত শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা।
রোবাবর (১১ মে) বিকেল ৩ টার সময় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৬ শতাংশ।
এর আগে শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩ টার সময় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ।
শুক্রবার (০৯ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় এবং বৃহস্পতিবার (০৮ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের রিকশাচালক হামিদুর রহমান জানান, আজ তিন দিন যাবৎ গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তীব্র রোদে রিকশা চালাতে গিয়ে হাঁফিয়ে উঠছি। কিছুক্ষণ পরপর বিশ্রাম নিতে হচ্ছে।
শহরের মনোহারি ব্যবসায়ী চুন্নি মিয়া বলেন, ফ্যানের বাতাস যেন গায়ে লাগছে না। দিনে কাঠফাটা রোদ আর রাতে ভ্যাপসা গরমে কাহিল হয়ে পড়ছে জীবন।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
রোববার (১১ মে) বিকেল ৩ টার সময় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৬ শতাংশ।
আগামী কয়েকদিন চুয়াডাঙ্গায় এমন খরতাপ অব্যাহত থাকতে পারে। এজন্য জনসাধারণকে দুপুরের সময় অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আইএ