• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘করোনা মোকাবিলায় সফল বাংলাদেশ’


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, ০৩:৪৪ পিএম
‘করোনা মোকাবিলায় সফল বাংলাদেশ’

ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রাণঘাতী করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মারেক।তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের জিডিপি ৬- এর ওপরে রয়েছে। আমরা খাদ্য ও প্রোটিন উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন সবজি রপ্তানি করছি।’

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হোটেল রেডিসন ব্লুতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এখন সংক্রমণ চার শতাংশের মধ্যে রয়েছে। অনেকের কাজ ও ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কাজ করতে হবে।’

এসময় মহামারি করোনা মোকাবিলায় এক কোটির বেশি লোককে একসঙ্গে টিকা দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রায় আড়াই কোটি লোককে আমরা ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন দিয়ে ফেলেছি। দেড় কোটিরও বেশি মানুষকে ২ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বরও চীন থেকে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে এসেছে। দুইদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে আমরা প্রতিশ্রুতি পেয়েছি ফাইজারের আরও ৭১ লাখ টিকা পাওয়ার। আগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ৬০ লাখ টিকার মধ্যে ১০ লাখ আমরা পেয়েছি। নতুন করে আরও ৭১ লক্ষ টিকা বাংলাদেশে আসবে।  পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যেই আমরা বড় আকারের টিকা দানের কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। সেখানে আমরা কয়েক দিনের মধ্যে এক কোটিরও অধিক লোককে একসঙ্গে ভ্যাকসিন দিয়ে দেব। আর নিয়মিত ভ্যাকসিন কার্যক্রম তো চলমান রয়েছে।    

গর্ভবতীদের পুষ্টি নিশ্চিত করা সম্ভব হলে সুন্দর আগামী প্রজন্ম পেতে সক্ষম হব জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সময়েও আমরা খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রেখেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ দূষণের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। এজন্য পানি ও বায়ুদূষণ রোধ করতে হবে। শিল্প-কলকারখানার বর্জ্য পানিতে মিশতে দেওয়া যাবে না। পরিবেশ দূষণ রোধ ইটভাটা বন্ধ করতে হবে।’

বাংলাদেশ পুষ্টি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডিজিটাল এমঅ্যান্ডই পদ্ধতির উদ্বোধন করে বলেন, ‘এমঅ্যান্ডই- এর মাধ্যমে প্রত্যেক মন্ত্রণালয় তাদের পুষ্টি লক্ষ্যমাত্রা হালনাগাদ করবে, অনলাইনের মাধ্যমে সবাই তা দেখতে পাবে। এভাবে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে সবার জন্য পুষ্টি কার্যক্রম তরান্বিত করতে সক্ষম হব।’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমাদের জমি কমলেও ফসলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে এখনো সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করা করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।’

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!