• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

চোখের ঘাতক গ্লুকোমা, নীরবে কেড়ে নেয় দৃষ্টিশক্তি


ধর্মচিন্তা ডেস্ক এপ্রিল ৬, ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম
চোখের ঘাতক গ্লুকোমা, নীরবে কেড়ে নেয় দৃষ্টিশক্তি

ঢাকা : কোনো ধরনের উপসর্গ বা তেমন কোনো সমস্যা ছাড়াই হঠাৎ করেই এক সময় অন্ধ হয়ে যেতে পারেন মানুষ। চোখের এই নীরব ঘাতক রোগটির নাম হচ্ছে গ্লুকোমা। কোনো রকম জানান না দিয়েই এই দৃষ্টিঘাতী অসুখ হতে পারে। এই সমস্যা যেকোনো বয়সেই হতে পারে। তবে যাঁদের বয়স ৪০ বছর ছাড়িয়েছে এবং বংশে যাঁদের গ্লুকোমা আছে, তাঁদের আশঙ্কা বেশি। ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে চিরতরে দৃষ্টিশক্তিও কেড়ে নিতে পারে এই রোগ।

গ্লুকোমা হচ্ছে চোখের একটি রোগ যেখানে চোখের পেছনে থাকা অপটিক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই স্নায়ুর কাজ হচ্ছে চোখকে মস্তিস্কের সাথে যুক্ত করা। গ্লুকোমার প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করানো না হলে এর কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

প্রাথমিক অবস্থায় গ্লুকোমায় কোনো ধরনের উপসর্গ থাকে না। শুধু পরীক্ষার মাধ্যমেই এটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়। গ্লুকোমায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চোখে তরল নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় চোখে চাপ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন উপসর্গ তৈরি হয়। সাধারণভাবে গ্লুকোমায় চোখ লাল ভাব, পানি পড়া ও অল্প ব্যথা হয়। এই উপসর্গগুলো পরে আরও বেড়ে যায়, দৃষ্টিশক্তি কমে আসে, মাথাব্যথা হয়, বমির উদ্রেক হয়। এ ছাড়া এই রোগের একটা উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলো আলোর চতুর্দিকে রামধনুর ছটার (রেনবো হ্যালো) মতো দেখা।

গ্লুকোমার প্রাথমিক কোনো উপসর্গ না থাকলেও নিয়মিত পরীক্ষা করালে গ্লুকোমা শনাক্ত করা যায়। প্রতি দুই বছর পর পর একবার করে চোখ পরীক্ষা করানো উচিত। খুব দ্রুত এবং ব্যথাহীন টেস্টের মাধ্যমে গ্লুকোমা শনাক্ত করা যায়। যেমন দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষা কিংবা আপনার চোখের উপর কতটা চাপ পড়ছে তার টেস্ট ইত্যাদি। টেস্টে যদি আপনার গ্লুকোমা শনাক্ত হয় তাহলে দেরি না করে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!