• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘পুতিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ২৪, ২০২৩, ০৪:৪৪ পিএম
‘পুতিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’

ঢাকা: কদিন আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বলা হয়, ইউক্রেন থেকে শত শত শিশুকে বেআইনিভাবে ধরে রাশিয়ায় নিয়ে পুতিন যুদ্ধাপরাধ করেছেন।

এ বিষয়ে সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা পরোয়ানা অনুযায়ী পুতিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে তা হবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

এর প্রতিক্রিয়ায় টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় মেদভেদেভ বলেন, ‘ভেবে দেখুন তো, অবশ্য এ পরিস্থিতি কখনো কল্পনায়ও আনা যায় না। এরপরও মনে করুন, পারমাণবিক রাষ্ট্রের বর্তমান প্রধান কোনো এলাকায় গেছেন। ধরা যাক তিনি জার্মানিতে গেছেন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন। এতে কী হবে? এটি হবে রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের শামিল। এ ক্ষেত্রে আমাদের সব সরঞ্জাম, সব ক্ষেপণাস্ত্র বুন্দেসতাগ থেকে শুরু করে চ্যান্সেলরের কার্যালয়ের দিকে ছোড়া হবে।’

ক্রেমলিন বলছে, পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা একটি পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত। রাশিয়ার কাছে এর কোনো গুরুত্ব নেই।

মেদভেদেভ বলেন, ‘ইউক্রেন রাশিয়ার অংশ। আধুনিক জামানার বেশির ভাগ সময় ইউক্রেন রুশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালের পর রাশিয়া ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেয় এবং ১৯৯৪ সালে বুদাপেস্ট স্মারক মতে সীমানার অনুমোদন দেয়।

মেদভেদেভ বিশ্বাস করেন, রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক একসময় ভালো হবে। তবে এটা ঠিক, এতে অনেক সময় লাগবে। 

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আজ হোক, কাল হোক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে এবং পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হবে। তবে আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, ওই সময়ের মধ্যে পশ্চিমা নেতাদের ওই সব লোক অবসরে চলে যাবেন এবং অনেকের মৃত্যু হবে।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের ঘটনা বলে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা। ১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর মস্কো ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় সংঘাতের ঘটনা।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!