• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

প্রথম বিতর্কে হ্যারিসের চাপে রক্ষণাত্মক অবস্থানে ট্রাম্প


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ১১:৫১ এএম
প্রথম বিতর্কে হ্যারিসের চাপে রক্ষণাত্মক অবস্থানে ট্রাম্প

ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী ডেমোক্র্যাটিক দলীয় প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে পেনসিলভেইনিয়া অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর ফিলাডেলফিয়ায় বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানেই ট্রাম্পের সঙ্গে হ্যারিসের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ হয় এবং হ্যারিস এগিয়ে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন করেন।

বিতর্কে স্বভাবসুলভাবে আক্রমণাত্মক রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ট্রাম্পকে রক্ষণাত্মক অবস্থানে ঠেলে দেন সাবেক আইনজীবী হ্যারিস।

বিতর্কের শুরু থেকেই ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বপালনের মতো শরীরিক সামর্থ্য তার আছে কি না, তার অগণিত আইনি সমস্যা ও গর্ভপাতের সীমা নিয়ে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন হ্যারিস। অপ্রত্যাশিত এ আক্রমণের মুখে রক্ষণাত্মক অবস্থানে গিয়ে বিতর্ক চালিয়ে যান ট্রাম্প।

বিভিন্ন জনমত জরিপগুলোতে হোয়াইট হাউজের দৌড়ে এ দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে। এ পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ মুখোমুখি বিতর্ক একটি প্রচার পরিবর্তনকারী মুহূর্ত ছিল। এই সুযোগকে নিজের পক্ষে আনার চেষ্টায় উভয় প্রার্থীই জোরালোভাবে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, সাবেক আইনজীবী হ্যারিস (৫৯) বারবার ট্রাম্পকে বিরক্ত করে তাকে মিথ্যা ভরা জবাব দিতে প্ররোচিত করেছেন, আর তাতে ট্রাম্প (৭৮) দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ হচ্ছিলেন।

বিতর্কের এক পর্যায়ে হ্যারিস বলেন, লোকজন ‘একঘেয়েমিতে ভুগে ক্লান্ত হয়ে’ আগেইভাগেই ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার জনসমাবেশগুলো ছেড়ে চলে যায়। ট্রাম্প উত্তেজিত হয়ে উঁচু গলায় এর জবাব দেন।

হ্যারিসের জনসভাগুলোতে উপস্থিত লোকজনের পরিমাণ দেখে হতাশ হয়ে ওঠা ট্রাম্প এদিন বলেন, “আমাদের জনসমাবেশগুলো, আমাদের জনসমাবেশগুলোই সবচেয়ে বড়, রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে অবিশ্বাস্য সব সমাবেশ।”

“আবারও সীমা ছাড়া কথাবার্তা,” উত্তরে হাসতে হাসতে বলেন হ্যারিস।

দুই প্রার্থী অভিবাসন, পররাষ্ট্র নীতি ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বিতর্কে জড়ান; কিন্তু সুনির্দিষ্ট নীতিগত বিবরণের গভীরে কেউই প্রবেশ করেননি। হ্যারিসের আক্রমণাত্মক ধরন ট্রাম্পকে চাপে রাখতে সফল হয়।

হ্যারিসকে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে বর্ণবাদী ও লিঙ্গবাদী আক্রমণের মতো ব্যক্তিগত আক্রমণ করে আসা ট্রাম্প বিতর্কের প্রথম দিকে এ ধরনের অপমান করা থেকে অনেকটা বিরত ছিলেন, কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে হ্যারিসের আক্রমণের মুখে তিনি ততই উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলেন।

এরই এক পর্যায়ে তিনি প্রতিপক্ষের বর্ণ নিয়ে মন্তব্য করলে জবাবে হ্যারিস বলেন, “এটি একটি শোচনীয় ঘটনা যে আমাদের একজন যিনি প্রেসিডেন্ট হতে চান তিনি তার পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে মার্কিন জনগণকে জাতিগতভাবে বিভক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।”

একজন পর্ণ তারকাকে গোপনে অর্থ প্রদান নিয়ে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া, তার বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য অভিযোগ ও যৌন নিপীড়নের দায়ে দোষী হওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের সমালোচনা করেন হ্যারিস।

এর জবাবে ট্রাম্প কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেন এবং কোনো প্রমাণ ছাড়াই তার বিরুদ্ধে এসব মামলা করার জন্য ফের হ্যারিস ও ডেমোক্র্যাট পার্টিকে অভিযুক্ত করেন।

প্রতারণার কারণে ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন বলে ফের মিথ্যা দাবি করেন ট্রাম্প। হ্যারিসকে ‘মাক্র্সবাদী’ বলে অভিহিত করেন এবং অভিবাসীরা সহিংস অপরাধের বিস্তার ঘটাচ্ছে বলে মিথ্যা দাবি করেন।

৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আট সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত এ বিতর্ক টেলিভিশনে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক কোটি ভোটার।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!