ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা : অবরুদ্ধ গাজায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাত আজ থেকে ঠিক দুই বছর আগে শুরু হয়েছে। প্রথমে ইসরায়েলে ঢুকে একদল হামাস যোদ্ধা কিছু ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে আসে। এর জবাবে পরদিন থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এই দুই বছরের যুদ্ধে ৬৭ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসলায়েল। আর হামাস এক হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। যুদ্ধে গাজায় এক লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়েছে।
এই দুই বছরের যুদ্ধে দুই দফায়, অল্প কয়েকদিনের বিরতি এসেছিল। কিন্তু, টেকসই যুদ্ধবিরতি বা শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিটি উদ্যোগ দুই পক্ষের অনমনীয় অবস্থানের কারণে ভেঙে গেছে।
আল জাজিরা, রয়টার্স, এএফপি ও বিবিসিসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।
দুই বছর আগে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের সঙ্গী হয় সমমনা কয়েকটি সংগঠন।
'আল-আকসার বন্যা' অভিযানের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে। সে সময় ইসরায়েলের অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিব্বুৎজ নামে পরিচিত ইসরায়েলিদের গ্রামসদৃশ থাকার জায়গা ও নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে হামলা চালায় হামাসের যোদ্ধারা।
পাশাপাশি, ইসরায়েলের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যস্ত রাখতে তিন থেকে পাঁচ হাজার রকেট নিক্ষেপ করে হামাস।
এসব হামলায় সব মিলিয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হিসাব মতে, নিহতদের ৮১৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে ৩৬ শিশুও আছে। সেসময় হামাসের হাতে জিম্মি হন ২৫১ জন।
হামাসের এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল পরদিন থেকে গাজায় হামলা চালাতে শুরু করে। দুই বছরের এই যুদ্ধে গাজার আবাসিব ভবন, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা থেকে শুরু করে হাসপাতাল পর্যন্ত ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। গাজার হাজার হাজার ভবন ইসলায়েলি হামলায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ গাজাবাসী।
গাজায় ইসলায়েলি হামলার বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। কোনো কিছুতেই কাজে আসেনি। বিশ্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। আর ইসরায়েলি হামলায় গাজার ৬৭ হাজার প্রাণ ঝড়ে গেছে। কোনো কোনো পরিবারের সব সদস্যই নিহত হয়েছে এই হামলায়।
পিএস







































