• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯, ০২:১৭ পিএম
রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা

ঢাকা : একুশের রাজনৈতিক সম্ভাবনা বুঝে নিতে ভুল করেছিলেন স্থানীয় রাজনীতিবিদরা। তারা এটাকে সাংস্কৃতিক আন্দোলন হিসেবে দেখেছিলেন। স্বভাবতই এখানে তাদের বড় ধরনের কোনো রাজনৈতিক প্রত্যাশা ছিল না। অনেকে মনে করেন মওলানা ভাসানীও এ দিকটায় ছাড় দিয়েছিলেন।

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের মতে, ভাসানী যদি ভাষা আন্দোলনের রাজনৈতিক গুরুত্ব ঠিকঠাক বুঝে থাকতেন, তাহলে ২১ ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি সামনে রেখে ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়তেন না। তার অনুপস্থিতি ভাষা আন্দোলনের অরাজনৈতিক ছাত্র গোষ্ঠীকে ভয়ানক হতাশ করেছিল।

এমনকি সাংগঠনিকভাবে যুবলীগকে এই আন্দোলনে যুক্ত থাকার কোনো নির্দেশও দেয়নি দলের নেতারা। অথচ যুবলীগের ভূমিকা রাখার বড় সুযোগ ছিল। এই আন্দোলনের রাজনৈতিক সম্ভাবনা পরে সবাই টের পেয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের আগে কোনো রাজনৈতিক দলই সেটা বুঝতে পারেনি।

আহমদ রফিক তখনকার রাজনৈতিক দলের ভূমিকা সম্পর্কে বলেন, এই পরিস্থিতির ব্যাখ্যায় স্বভাবতই মনে হতে পারে, সে সময় বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্ব, এমনকি মওলানা ভাসানীও ভাষা আন্দোলনকে রাজনৈতিক স্রোতে টেনে আনতে চাননি। ছাত্র-যুবা গোষ্ঠীর হাতেই এর পরিণতি ও সমাপ্তি দেখতে চেয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর অন্য স্বার্থ ছিল। তখন ভাষা আন্দোলনে তাদের সরাসরি সম্পৃক্ত হতে গেলে অন্য স্বার্থ ক্ষুণ্ন হতো। তাই আমরা যারা ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তারা রাজনৈতিক দলগুলোর তখনকার অবস্থানকে বলে থাকি ‘বিশ্বাসঘাতকতা’।

অর্থাৎ এ কথা স্পষ্ট, ভাষা আন্দোলনকে পূর্ণ তাৎপর্যে ধারণ করার মতো কোনো রাজনৈতিক সংগঠন ছাত্ররা পায়নি। অথচ তেমন সংগঠন বা নেতৃত্ব দেশে ছিল না, তা নয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!