• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

মুখের ফোলা ভাব কমাতে যে কৌশল অবলম্বন করেন মালাইকা


লাইফস্টাইল ডেস্ক মে ৩০, ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
মুখের ফোলা ভাব কমাতে যে কৌশল অবলম্বন করেন মালাইকা

ঢাকা: মুখের ফোলা ভাব কমাতে অন্য অভিনেত্রীদের মতো মোটেই বরফপানিতে মুখ ডুবিয়ে রাখেন না বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা। তার পদ্ধতি হলো একটু ভিন্ন— রাবার ব্যান্ড। এ দিয়েই তার মুখ একেবারে টান টান দেখায়।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই মুখ ফোলা দেখায় অনেক সময়ে। চোখের নিচের অংশ, গালে ফোলা ভাব থাকলে দেখতে মোটেই ভালো লাগে না। মুখের ফোলা ভাব কমাতে কী করা উচিত, সে নিয়ে ইন্টারনেটে বিস্তর খোঁজাখুঁজিও হয়। 

কিন্তু মালাইকা অরোরা এ ব্যাপারে টিপস দিয়েছেন। ৫১ বছরের অভিনেত্রীর ফিটনেস নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই বয়সেও তন্বী চেহারা ধরে রাখতে কার্ডিও, স্ট্রেংথ ট্রেনিং থেকে যোগাসন— প্রায় সবই অভ্যাস করেন মালাইকা অরোরা। শরীরচর্চার সঙ্গে কোনো রকম আপস পছন্দ নয় অভিনেত্রীর। নিত্যনতুন ব্যায়ামের পদ্ধতিও শেখান তিনি।

পাশাপাশি ত্বকের পরিচর্যা নিয়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে টিপসও দেন তিনি। মালাইকা জানিয়েছেন, মুখের ফোলা ভাব নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন অনেক নারীই। এর জন্য পার্লারে গিয়ে কোনো থেরাপি করানোর প্রয়োজন নেই। মাত্র দুটি রাবার ব্যান্ডেই কাজ হবে। বরফপানিতে মুখ ডুবিয়ে রাখলেও মুখের ফোলা ভাব কমে বটে, তবে সাইনাস থাকায় সে পথে আর পা বাড়াননি অভিনেত্রী। 

তার টোটকা ওই রাবার ব্যান্ডই। সকালে উঠে দুই কানে ভালো করে রাবার ব্যান্ড পেঁচিয়ে নেন তিনি। যত টান টান করে রাবার ব্যান্ড পেঁচানো যাবে, ততই টান পড়বে মুখের পেশিতে। টানা বেশ কিছুক্ষণ এভাবে থাকলে মুখের ফোলা ভাব অনেক কমে যাবে বলে দাবি করেন মালাইকা অরোরা।

এ ছাড়া অভিনেত্রীর ‘ডি-পাফিং’ পদ্ধতি আপনি জেনে নিতে পারেন। মুখের ফোলা ভাব কমানোর পদ্ধতিকে বলা হয় ‘ডি-পাফিং’। এটি ঘরোয়া পদ্ধতিতেও হয়, আবার অতিরিক্ত ফোলা ভাব থাকলে বা চোখের তলায় ও গালে চর্বির স্তর জমতে থাকলে, সে ক্ষেত্রে ‘ডি-পাফিং’ করার নানা থেরাপি রয়েছে। 

এখন কথা হলো— মালাইকার রাবার ব্যান্ড পদ্ধতি কতটা স্বাস্থ্যকর? রাবার ব্যান্ড পরে মুখের ফোলা ভাব কমানোর পদ্ধতি কোরিয়ায় বেশ প্রচলিত। চটজলদি মুখ টান টান দেখাতে এভাবে ডি-পাফিং করেন অনেকেই। যদিও এ পদ্ধতি সঠিক কিনা, তার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।

এ বিষয়ে চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার বলেন, রাবার ব্যান্ড দীর্ঘ সময় কানে পরে থাকলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ওই অংশের গ্রন্থিগুলো ফুলে উঠবে। ফলে মুখ, কান ও গলার কাছে যন্ত্রণা শুরু হবে। রাবার ব্যান্ড খুলে ফেলার পরও মাঝেমধ্যেই সেই যন্ত্রণা হতে পারে। 

কারণ রাবার ব্যান্ড খুব শক্ত করে কানে পরে থাকলে ওই অংশের রক্তজালিকাগুলো ফুলে উঠবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোষ। এতে রক্তজমাট বেঁধে মুখের পেশির নমনীয়তা নষ্টও হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার না করাই ভালো। 

ইউআর

Wordbridge School
Link copied!