• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
পুলিশ মহাপরিদর্শক

সমাবেশে আহত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১, ২০২৩, ০১:৪০ পিএম
সমাবেশে আহত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে

ঢাকা : ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে আহত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। একজন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল মামুন। তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

বুধবার (১ নভেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি সেদিনের আহতদের দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান।

তিনি আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘২৮ অক্টোবর পুলিশ সদস্যদের উপর নারকীয় আক্রমণ করা হয়। পুলিশের এক সদস্যকে মৃত্যুর নিশ্চিত করার জন্য তাকে পিটিয়ে ও মাথায় কুপিয়েছিল। যারা আহত হয়েছিল এদের বেশ কিছু পুলিশ ও আনসার সদস্য এখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা জানিনা তাদের কি হবে। চেষ্টা করছি তাদেরকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করতে। তবে পারবো কিনা জানিনা। খুব একটা আশা আছে কি না তাও জানিনা। এদের মধ্যে এক আনসার সদস্য মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত, বিছানায় কাতরাচ্ছে।’

২৮ অক্টোবর সমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে রাজনৈতিক সহিংসতা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিত করেছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার জেনেভা থেকে পাঠানো জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে সংস্থাটির এই ইঙ্গিত করে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমরা কীভাবে দায়িত্বপালন করছিলাম। আর কীভাবে আমাদের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে। সমাবেশটা যাতে সুন্দর হয় সেজন্য চারদিকে আমরা দায়িত্বপালন করছিলাম। তারপর যখন আমরা আক্রান্ত হয়েছি, প্রধান বিচারপতির বাসভবন আক্রান্ত হয়েছে, জাজেস কোয়ার্টার আক্রান্ত হওয়ার পর আমরা তাদের সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি, আক্রমণ আরও বেড়েছে। আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন, যারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।’

২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যবস্থার কোনো ঘাটতি ছিল না, সেজন্য নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। ওইদিন কোনো অবরোধ কর্মসূচি ছিল না, তারপরও তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছিল। সেজন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যেটুকু শক্তি প্রয়োগ করার প্রয়োজন ছিল; সেটুকু করেছি।

আইন শৃঙ্খলার অবনতি বা সাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলেই তাদের বিরুদ্ধর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সার্বিক বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশের প্রধান কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা পেশাগত দায়িত্বপালন করছে, তারাই আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকরা যেই ছবি, তথ্য সংগ্রহ করছে সেই ছবি তাদের বিপক্ষে যাবে দেখে সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ করছে। যারা এই আক্রমণ করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!