ফাইল ছবি
আগামী জানুয়ারি থেকে জাতীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সচিবালয় অভিমুখী লং মার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এই কর্মসূচি পালিত হবে। এর আগে আগামী ৬ ডিসেম্বর জাতীয় সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। একই দাবিতে আগামীকাল ৩ ডিসেম্বরে প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আবদুল গণি রোডে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের নীতি নির্ধারণী কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নোমানুজ্জামান আজাদ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব বদরুল আলম সবুজ, কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ আজমি, মো. সেলিম ভূঞা, মো. রোকনুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম মামুন, জিল্লুর রহমান খান, অহিদুর রহমান ও কামাল হোসনে শিকদার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বেতন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর করা হবে। পাশাপাশি টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড প্রবর্তন, শতভাগ পেনশন প্রথা পুনর্বহাল, প্রশাসনিক ও আর্থিক বৈষম্য দূরীকরণে সচিবালয়ের মতো এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন এবং সার্ভিস কমিশন গঠন করা হবে।
সকল অস্থায়ী কর্মচারীদের নিয়মিত করা, ন্যায্যমূল্যে মানসম্মত রেশন প্রদান, আউটসোর্সিং নিয়োগপ্রথা বাতিল করে শূন্য পদে রাজস্বখাতে নিয়োগ এবং ব্লকপোস্টে পদোন্নতির ব্যবস্থা নেওয়াও কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া আইএলও কনভেনশনের ৮৭ ও ৯৮ ধারার অধীনে সকল দপ্তরে সরকারি কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার প্রদান করতে হবে।
সংগঠনের নেতারা জানান, এই আন্দোলন কর্মসূচি সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এবং সচিবালয়ে কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই পরিচালিত হবে।
এসএইচ







































